লোকসভা ভোটের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। একুশের বিধানসভায় তাকে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মতো হেভিওয়েট ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন সভায় দেখতে পাওয়া যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন হুগলি জেলা সভাধিপতি মেহেবুবুর রহমান-সহ লোকাল নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তনু সেন দলীয় পতাকা পুনরায় আবার পারভেজ রহমানের হাতে তুলে দেন।
advertisement
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে৷ মনোনয়নের কাজ চলছে৷ তার মাঝেই পুরনো দলে ফিরে এলেন পারভেজ৷ পুরশুড়া বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কিছু কারণে মা মাটি মানুষের সংসার থেকে কিছুদিন দূরে ছিলেন। কিছু মান অভিমানের কারণেই হয়েছিল এই বিচ্ছেদ৷ এবার তিনি নতুন করে দলের কাজ শুরু করবেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন৷
এ প্রসঙ্গে পারভেজ রহমান জানান,‘‘আমি তো তৃণমূলেরই কর্মী। তৃমমূলেই ছিলাম। মাঝখানে মান অভিমানের কারণে অন্যদলে গিয়েছিলাম। আমি তো রাজনীতিতে এসেছি মানুষের জন্য কাজ করতে। ওইদলকে কোনও রাজনৈতিক দল বলেই মনে হয়নি আমার। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী, অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে আমি ছিলাম বটে। তবে ওটা দল নয়। ধর্মীয় মঞ্চ ছিল।’’
তবে তৃণমূল থেকে কেন বিজেপিতে গিয়েছিলেন পারভেজ? টিকিট না পাওয়ার কারণেই কী অভিমান হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে পারভেজ বলেন, ‘‘সংসার বড় হলে একটু মান অভিমান হতেই পারে। তবে সেসব মিটে গিয়েছে। এখন আবার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস দলে থেকেই এই কাজ আমি করতে পারব।’’
তৃণমূলে মুখপাত্র শান্তনু সেন এই প্রসঙ্গে বলেন,‘‘এই অঞ্চলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন পারভেজ। পারভেজের মত আরও অনেকেই ভুল বুঝে বা কোনও কারণে অন্য দলে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা উপলব্ধি করেছেন যে প্রকৃত অর্থে মানুষের সেবা এই দলে থেকেই সম্ভব। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে আবার ফিরে আসার তদারকি করেছেন।”