বঙ্কিমচন্দ্র যে বাড়িতে বসে বন্দেমাতরম্ গানটি রচনা করেছিলেন, সেই বাড়িটি আজ সাধারণ মানুষের কাছে বন্দেমাতরম্ ভবন নামে পরিচিত।
হুগলি জেলার প্রাণকেন্দ্র চুঁচুড়া শহরে গঙ্গার পাড়ে রয়েছে এই বন্দেমাতরম্ ভবন। এক সময় এই ভবন সংরক্ষণের অভাবে জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছিল। সমাজের সুধীজনদের তৎপরতায় প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি হয় বাড়িটির সংস্কার করার জন্য। পরবর্তীতে বাড়িটি সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়। এই বাড়িতে বসেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেন আনন্দমঠ উপন্যাস। এই আনন্দমঠের মধ্যেই রয়েছে বন্দেমাতরম্ গানটি। যে গানটি উদ্বুদ্ধ করেছিল অজস্র স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের।
advertisement
আরও পড়ুন : এবার সাড়ম্বরে হবে মহিষমর্দিনী পুজো, জোরকদমে প্রস্তুতি কালনায়
সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্মসূত্রে হুগলিতে আসেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সামলানোর জন্য। তিনি হুগলিতে এসে ভাগীরথী তীরবর্তী এই বঙ্কিম ভবন বা বন্দেমাতরম্ ভবনেই বসবাস করতেন। এবং এই বাড়ি থেকেই বীজ মন্ত্র বোনা হত স্বাধীনতা সংগ্রামের । সংস্কৃত ও বাংলা দুই ভাষার সমন্বয়ে রচিত বন্দে মাতরম্ গানটি আসলে দেবী ভারত মাতার বন্দনা গীতি এবং বাংলা মা বা বঙ্গদেশের জাতীয় মূর্তিকল্প। ঋষি অরবিন্দ এই গানটিকে বঙ্গদেশের জাতীয় সঙ্গীত বলে উল্লেখ করেছিলেন।
আরও পড়ুন : আমের আঁটি বিক্রি করেও হচ্ছে অনেক আয়
স্বাধীন ভারতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমন অধিনায়ক গানটিকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং বন্দেমাতরম্ গানটি মর্যাদা পায় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে।
রাহী হালদার