সেই প্রথম মেনে আজও পূজিত হচ্ছেন হুগলির বলাগড়ের মা মশাল কালী। বাংলার গল্প উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে ডাকাত ও তাদের পুজিতো দেবী মা কালীর কথা। অতীতে ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে দেবী কালীর পূজা করতেন। দেওয়া হত বলিও। দেবী তুষ্ট হলে ডাকাতদের ডাকাতি সফল হত। তারপরেই হারে রে রে রে....। যদিও স্থানীয় মানুষদের কাছে ডাকাতরা ছিলেন না রবিনহুড। রাজাদের থেকে লুঠ করে নিয়ে এসে তা বিলিয়ে দিতেন স্থানীয় মানুষদের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পথ কুকুরদের ভাইফোঁটা দিয়ে এক অনন্য নজির গড়লেন চন্দননগরের সঞ্চিতা
প্রতিবছর কালীপুজোর শেষ রাতে দেবীকে মশাল জ্বালিয়ে নিয়ে যাওয়া হত নিরঞ্জন এর জন্য। ঢাকের শব্দ আর মশালের আলোয় রোমহর্ষক বাতাবরণ আজও তৈরি হয় মশালকালী মাতার ভাসানোর দিনে। হুগলি জেলার বলাগড় ডাকাতদের আস্থানা হয়েছিল তার কারণ জমিদারদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য। ডাকাতদের এক বড় অংশই একসময় জমিদারদের লেঠেল বাহিনীর সিপাহী ছিলেন। জমিদারদের জমিদারী চলে গেলে সেই লেঠেল বাহিনীরা পরিণত হয় ডাকাত দলে।
আরও পড়ুনঃ মানকুন্ডু সার্বজনীনের এই বছরের থিম 'বোধোদয়'
রঘু ডাকাত, কালি ডাকাত, গগন ডাকাত সবাই কোনও না কোনও সময় জমিদারদের সিপাহী ছিলেন। পরবর্তীতে তারাই বিভিন্ন জায়গায় শুরু করেন এই ডাকাত কালী পূজা। এইরকমই একটি ডাকাত দলের কালী পূজা ছিল মশাল কালী মাতার পুজো। কালের নিয়মে ডাকাতি ও ডাকাত দল বিলুপ্ত হয়েছে। রয়ে গেছে তাদের আরাধনার দেবীর পুজো। স্থানীয় মানুষরা আজও সেই প্রাচীন রীতি নীতি মেনেই আরাধনা করে আসছেন মা কালীর।
Rahi Haldar