বোন অঞ্জুলা বেগম, বয়স ২৭বছর ও ছেলে আরিফুল আলি খানের বয়স ১৪ বছর সকলেই জন্মগত প্রতিবন্ধী,হাত ও পা খুবই ছোট-ছোট, একেবারেই কাটারির মতো পাতলা পাতলা একেবারেই অস্বাভাবিক দেখতে। হাঁটা চলা তো করতেই পারে না ,ঠিক মতো কানেও ভাল শুনতে পায়না, আবার কেউই কথাও বলতে পারেনা।
advertisement
পরিবারের সকলেরই দাবি, তারা জন্মগত প্রতিবন্ধী হলেও এখনও পর্যন্ত পাইনি কোনও সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা । এমনকি কোনও সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পাইনি। এছাড়াও আঙুলের ছাপ না দিতে পারায় বর্তমানে পারছেন না রেশন সামগ্রীও। অভিযোগ এত বছর হয়ে গেলেও তারা বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হলেও আজ পর্যন্ত পাইনি কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা।
সরকারি সাহায্য বা ভাতা তো দূর তারা যে তিনজন রেশন দ্রব্য পাচ্ছে না তা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ওই পরিবারের। পারিবারে মোট পাঁচ জন সদস্য হলেও রোজগেরে বলতে একমাত্র তহীদ আলি খান।নেই কোনও নিজস্ব বাড়ি,জমি লোকের বাড়িতে দিন মজুর খাটে।কোনওরকমে এভাবেই দিন যাপন করেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
সরকারি সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নিজেদের কষ্টর কথা জানালেন প্রতিবন্ধী অঞ্জুলা,সবাই শুধু তাঁদের ছবি তুলেছে আর আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু তাঁদের বাস্তব জীবনের কথা কেউ ভাবেনি বলে দাবি তার।আরামবাগে বদলি হয়ে এসেছে নতুন বিডিও,যদি তিনি তাঁদের মুখ চেয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করেন যাতে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গুলি পায় । সেই আসাতে সপরিবারে এদিন বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হন।যদিও এই বিষয়ে আরামবাগ বিডিও সুব্রত মল্লিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Suvojit Ghosh