সূত্রের খবর, শান্তনুর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যেত বলেই খবর। তাঁর হুগলির বলাগড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ডও। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পান তদন্তকারী অফিসাররা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। এদিন শান্তনুর আয়-ব্যয়ের হিসাবের নথি নিয়ে দেখা করতে বলেছিল ইডি। সঙ্গে কুন্তলের সঙ্গে কার কার টাকার লেনদেন হয়েছে, অভিনয় জগতেও কুন্তলের পরিচিতি কতটা, সেসব জানতে চেয়ে এদিন শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জল গড়াল টলিউডেও! অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে তলব ED-র
আরও পড়ুন: কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত, কিন্তু কেন, জানালেন বাবা
প্রসঙ্গত কুন্তল হুগলির যুব তৃণমূলের নেতা ছিলেন প্রথম জীবনে। পরে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে আসে। এই যুবনেতা প্রথমে হুগলির জিরাট কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। এরপর ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হয়ে ওঠেন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্ব সামলেছিলেন কিছুদিন। এরপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পান। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, শেষ কিছু বছরে শান্তনুর সম্পত্তি আয় বৃদ্ধি ঘটেছিল বৃহত্তর হারে। বাড়ি গাড়ির সঙ্গে ব্যাংক ব্যালেন্স সব কিছুরই শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। কী ভাবে তার এত সম্পত্তি হল সেই নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। শুক্রবারও সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। তার বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই শান্তনুকে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে।
রাহী হালদার