স্থানীয় সূত্রে খবর, গনেশ স্টিল নামে ওই কারখানায় লোহার ছাঁট (স্ক্র্যাপ) থেকে লোহা গলানো হয়। তাতে ডেফেন্সের অনেক ছাঁট যেমন শেলও থাকে। শ্রমিকরা গ্যাস দিয়ে সেই ছাঁট কাটিং-এর কাজ করছিলেন। হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। যেসব শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিলেন তাঁরা আহত হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় কারখানায়। শ্রমিকরা অফিস ঘরে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ হাজির হয়। খবর পেয়ে কারখানায় যান স্থানীয় বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর জেলা তৃনমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন।
advertisement
আরও পড়ুূন: নবান্ন সভাঘরে আজ বসছে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, নজরে একাধিক ইস্যু
বিধায়ক বলেন, ''লোহা কাটাই এর কাজ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ডিফেন্সের ছাঁট লোহা। অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিকদের এই সমস্ত কাজ করানো হয়। বিষয়টা কতটা বৈধ বা অবৈধ সেটা দেখা দরকার। যাঁদের
মৃত্যু হয়েছে বা যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।''
আরও পড়ুন: 'আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা', মমতাকে কে বলল এমন কথা?
কারখানার শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ''অনেক ধরনের লোহার ছাঁট মাল এখানে আসে। বড় লোহা হলে সেগুলোকে গ্যাস দিয়ে কাটিং করে আমরা ছোট করি। কয়েকটির মধ্যে কামানের গোলাও থাকে। যেগুলোতে বারুদ থাকে সেগুলো আলাদা করে দূরে ফেলে রাখি। সুপারভাইজার ভীম সিং আজ ওই গোলাগুলোকে কাটার নির্দেশ দেন। কাটার সময়ই বিস্ফোরণ হয়।আমাদের নিরাপত্তা নেই কারখানায়।''
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল এই ঘটনার পর কারখানা চত্বরে আসেন। তিনি বলেন, ''দুর্ঘটনার পর ম্যানেজমেন্টের লোকজন পালিয়ে যায়। মৃতদেহ বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন এলাকার লোক বাধা দেয়।''
কারখানা ম্যানেজার কুনাল রায় বলেন, ''আমি ১১টার সময় এসে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। হাসপাতালে যাই। স্টিল প্ল্যান্টে ছাঁট লোহা দিয়ে কাজ হয়। মৃত এবং আহতদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা হবে।''
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, কী কারনে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাহী হালদার