হুগলির চাদরা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ শান্তনুর নামে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বরূপ প্রামাণিক ওরফে হুলো গ্রামবাসীদের ১০০ দিনের কাজ দিয়েছিল। সেই কাজ ছিল শান্তনুর রিসর্ট সাফসুতরো করা। কখনও শান্তনুর জমিতে চাষ করানোও হত। প্রতারিত গ্রামবাসীদের দাবি, বিলাসবহুল রিসর্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেক মানুষ প্রয়োজন। আর বিপুল সম্পত্তি করলেও টাকা খরচের ব্যাপারে বরাবরই কিপ্টেমি করতেন শান্তনু। তাই ছক কষে তাঁদেরকে দিয়ে বিনা পয়সায় কাজ করিয়ে নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পেশায় মডেল, আবার কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার! ইডি নজরে অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা
স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী হালদার বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য বলেছিলেন বলেই আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। তাই শান্তনুর রিসর্ট পরিষ্কার করার কাজ করি। কিন্তু ২০ দিন কাজ করেও একটা টাকা পাননি বাসন্তী। কাজের টাকা চাইতে গেলে বারবার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু কোনদিনই গরিব মানুষের কথা ভাবেনি। ক্ষমতা পেয়ে যা খুশি তাই করে গিয়েছে। এমনকি গ্রামবাসীদের অনেকের ১০০ দিনের জব কার্ড শান্তনু নিয়ে নিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ইডি বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করার পর তাঁর যে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে উঠে এসেছে তাতে মাথা ঘুরে যাওয়ার যোগাড়। যদিও তদন্তকারী গোয়েন্দারা বলছেন, এখনও অনেক কিছু জানা যায়নি। আগামী দিনে আরও অনেক কিছু উঠে আসতে পারে।
রাহী হালদার