গানের জগতে তাঁর ৩০ বছর অতিক্রান্ত হওয়া উদযাপন করছেন লোপামুদ্রা। এই বিষয়টি তিনি হুগলি জেলার একটি সংস্থার হাত ধরে করছেন। আর তাতে বেছে নিয়েছেন সামাজিক কর্তব্যের দিক। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হবে লোপামুদ্রার গান-জীবনের ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। সেখানে টিকিট বিক্রি করে যে অর্থ উঠবে তা একটি বড় অংশ বরাদ্দ করা হবে দুঃস্থ লোকসঙ্গীত শিল্পীদের উন্নয়নে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান লোপামুদ্রা।
advertisement
আরও পড়ুন: মাসে ৬ হাজার ভাতা, আবাস যোজনার ঘর চেয়ে আন্দোলনে বিশেষভাবে সক্ষমরা
শহর কলকাতার বুকে প্রতিবছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান করে লোকসঙ্গীত শিল্পীদের সাহায্য করে থাকেন লোপামুদ্রা মিত্র। সেখান থেকে অর্জিত টাকার এক অংশ দিয়ে তিনি সাহায্য করেছেন কবিগান ও পালাগানের দুই শিল্পীকে। এইবার হুগলিতে এই গান জীবনের আয়োজন হচ্ছে। এখান থেকে অর্জিত অর্থের এক বড় অংশ যাবে লেঠো সঙ্গীতশিল্পী মমতা সরকারের কাছে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি নাটক ও গানের দল ছিল, যার নাম 'লেঠো গান'। বর্তমানে সেই গান প্রায় বিলুপ্তির পথে। একমাত্র একজন সঙ্গীতশিল্পী রয়েছেন যিনি এই 'লেঠো গানের' অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সেই শিল্পী মমতা সরকারের বয়সও প্রায় ৭০ বছর। পেট চালানোর জন্য এখন আয়ার কাজ করছেন! তাঁকে সাহায্য করার জন্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র।
তবে কলকাতায় ছেড়ে হুগলিতে কেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় লোপামুদ্রাকে। উত্তরও তিনি বলেন, হুগলি একটি পুরনো জায়গা। এখানকার মানুষ সংস্কৃতির কদর জানেন। এছাড়া তাঁর গানের দলের পাঁচজন মিউজিশিয়ান হুগলিতে থাকেন। সঙ্গীত নিয়ে এখানকার মানুষের মধ্যে এক বিশেষ আবেগ আছে। তাই প্রথমবার কোনও জেলাতে গান জীবনের আয়োজন করেছেন লোপামুদ্রা।
রাহী হালদার