স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বাইকে করে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পিছু নেয় তিনজন দুষ্কৃতী। চণ্ডীতলার হরিরামবাটি এলাকায় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাইক আটকায় দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় বচসা। বচসা চলাকালীন আরও দুই বাইক আরোহী সেখানে উপস্থিত হয়। এদিকে চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও বাইরে বেরিয়ে আসেন। এলাকার লোকজন জড়ো হচ্ছে দেখে ওই দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। দু'জন বাইক নিয়ে পালিয়ে গেলেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর শুরু হয় গণধোলাই। খবর দেওয়া হয় চণ্ডীতলা থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় পুলিশ। তারা আহত ওই দুষ্কৃতীকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিহার থেকে অস্ত্র আসছিল বাংলায়, ছক ভেস্তে দিয়ে বীরভূম পুলিশের বড় সাফল্য
প্রসঙ্গত দু'দিন আগেই হরিপালের ইলাহিপুর এলাকায় প্রায় একই কায়দায় এক ব্যবসায়ীর পথ আটকিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। তিনি বাধা দিলে ওই ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা হুগলিতে।
আগের ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে চণ্ডীতলায় ধরা পড়া দুষ্কৃতীর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দলের বাকি সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা।
রাহী হালদার