আরও পড়ুন West Midnapore: কাজ চলাকালীন হঠাৎই ভেঙ্গে পড়ল বিদ্যাসাগরের তৈরি ১৫০ বছরের মাটির বাড়ি
অনেক সময় দেখা যায় অতি বৃষ্টির সময় ডিভিসি, মাইথন অথবা পাঞ্চেতের মত জলাধার গুলি অতি বৃষ্টি হলে বা ডিভিসিতে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে জল ছাড়তে বাধ্য হয়। ফলে নিম্ন দামোদরের বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।অয়নের তৈরি এই ডিভাইস পরিত্রাণ দেবে এই সমস্ত পরিস্থিতি থেকে। 'ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেম' এর সাহায্যে নদীর কোথায় কখন কী জলস্তর রয়েছে তা দফতরে বসেই নজর রাখতে পারবেন প্রশাসনের কর্তারা।
advertisement
বর্তমানে বিভিন্ন বাঁধ থেকে কিউসেকের পরিমাণে জল ছাড়া হয়। এবং জল ছাড়া মাত্রই নদীর বিভিন্ন জায়গায় জল স্তরের পরিবর্তন ঘটে ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। অয়নের এই ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে হাওড়া হুগলি বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এই ডিভাইস কাজ করবে আল্ট্রা সনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটি পরিচালিত হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে, যেখানে ইন্টারনেট আছে, সেখান থেকে জানা যাবে সে সময় কোন নদীতে ওয়াটার লেভেল কী অবস্থায় আছে। নদীর জল বাড়লে হলুদ সতর্কতা, লাল সতর্কতা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। সাবধান করা হয় নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষদের। প্রয়োজনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। এই ডিভাইস সেই কাজকেই আরও গতি দেবে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হুগলির আরামবাগ একটি বন্যা প্রবণ এলাকা। অয়নের এই ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেম কাজে আসবে এই বন্যা প্রবণ এলাকা গুলিকে রক্ষা করতে। সেই মতো কাজের জন্য প্রশাসনের তরফে অয়নকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।চন্দননগরের বাসিন্দা অয়ন জানান, ১৫ কিমি অন্তর এই ডিভাইস বসিয়ে রাখলে জলের উচ্চতা কতটা বাড়ল বা কমল তা বোঝা যাবে। এই যন্ত্রটি নদীর বিভিন্ন জায়গায় লাগানো থাকবে এবং আল্ট্রাসনিক সাউন্ড-এর মাধ্যমে সেগুলি কাজ করবে। যার ফলেবাঁধগুলি থেকে নিয়ন্ত্রিত জল ছাড়তে খুবই কার্যকরি হবে এই ফ্লাড মনিটারিং সিস্টেম।
রাহী হালদার