নাভিকের বাবা আব্বাস আলি একটি বেসরকারি কারখানার অস্থায়ী শ্রমিক। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মধ্য থেকে দু চোখ ভর্তি এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সাফল্য পাওয়া নাভিকের জিমনাস্টিকে হাতে খড়ি মাত্র তিন বছর বয়সে। কোন্নগরেরই কিশোর ব্যায়াম সমিতিতে ভর্তি হয় জিমনাস্টিক শিখতে। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার বলে পরবর্তীতে কলকাতার সাইতে নিজের জায়গা অর্জন করে। বর্তমানে দিল্লিতে লক্ষণ মনোহর শর্মার তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ছোট্ট নভিক।
advertisement
আরও পড়ুন - Holi 2023 Special: নিরিবিলিতে সময় কাটাতে ঘুরে আসুন চন্দ্রমণি ইকো ট্যুরিজম পার্ক, দোল-হোলিতে বিশেষ আকর্ষণ
ছেলের এই সাফল্যে তার মা বলেন, তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জন তাঁর স্বামী অর্থাৎ নভিকের বাবা। ছেলে নিজের দক্ষতায় এমন জায়গায় প্রশিক্ষণ পেয়েছে যেখানে তার কোন খরচ হয় না। কিন্তু প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক যা খরচ তা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তাঁর পরিবার। এখন প্রায়শই হুগলি থেকে দিল্লি যেতে হয় ন্যাশনালের প্র্যাকটিসের জন্য। যদি স্থানীয় প্রশাসন একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে তাঁদের পরিবারের পক্ষে সুবিধা হয়।
আরও পড়ুন - Hooghly News: রেললাইনের ধারে ওটা কী? সামনে যেতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য, সিঙ্গুরে চাঞ্চল্য
নাভিকের এই লড়াই শুধু তারা একার নয় তার পরিবারেরও। সামান্য বেসরকারি কারখানায় কাজ করে তার বাবা আব্বাস নিজের ছেলেকে সোনালি স্বপ্ন বুনতে শিখিয়েছেন। নভিকের আগামী লক্ষ্য কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমস ও অলিম্পিক গেমসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে পদক জয় করার।
Rahee Halder