সেই সময় স্কুল থেকে বেশ কিছুটা দূরে গোঘাটের কাঁটাপুকুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা পাশে নয়নজুলিতে উল্টে যায় ওই স্কুল ভ্যানটি। ঘটনায় আহত হয় পাঁচ খুদে পড়ুয়া। স্থানীয় বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসে। গাড়ির ড্রাইভার ভিতরে থাকা বাচ্চাদের উদ্ধার না করেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে তড়িঘড়ি ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে স্কুল পড়ুয়াদের উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'যোগ্য নেতা এই সন্মান পেলেন', মমতার হাতে ডি লিট তুলে দিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যপাল
অভিযোগ, এই স্কুল ভ্যানের চালক প্রায় দিনই ওই শিশুদের নিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে যায়। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর জেরেই গাড়িটি উল্টে যায় বলে মনে করছেন অনেকেই। অভিযোগ, উঠছে ওই স্কুল ভ্যানের ড্রাইভারের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির ভিতর শিশুরা কী অবস্থায় আছে তা না ভেবে ওই ড্রাইভার ভয়ে তার নিজের পিঠ বাঁচাতেই দৌড়ে পালায়। তবে অভিভাবকদের অনেকেই মনে করছেন এর জন্য দায়ী স্কুলের কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বোর্ডে লেখা সুইসাইড নোট, স্কুলের শিক্ষকের চূড়ান্ত পদক্ষেপ! হুগলিতে চাঞ্চল্য
কারণ, ভ্যানগুলি স্কুলের তত্ত্বাবধানেই চলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কখনও খোঁজ নেয় কি না তাদের জানা নেই। কী ভাবে এই ভ্যানগুলো স্কুলের বাচ্চা নিয়ে যাওয়া আসা করে। বাচ্চারা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেল গেলেও আহত হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ওই গাড়িতে থাকা আহত খুদে পড়বাদের অভিভাবকেরা মনে করছেন আগামী দিনে এই বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামী দিনে বড়সড় দুর্ঘটনা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই স্কুল ভ্যানগুলির ড্রাইভারদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বাচ্চাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।
শুভজিৎ ঘোষ