শুধু খানাকুলের মানুষ নয়। তৎকালীন সময়ে সাধক অবিরাম গোস্বামীর বহু শিষ্য ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর সেই সূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বহু ভক্তের সমাগম ঘটতো গোপিনাথের মন্দিরে।যা প্রায় কয়েকশ বছর আগেকার ঘটনা, জৌলু হারালেও সাধক অবিরাম গোস্বামীর প্রতিষ্ঠিত গোপীনাথের মন্দির আজো বর্তমান নিত্যসভার পুজো হয় এবং বছরের কয়েকটা বিশেষ দিনে গোপিনাথের ভোগ হয় তা গিয়ে মানুষের সমাগম ঘটে মেলা বসে। সেই ঐতিহ্য বাজায় রেখেছে এখনো পূজারী রায়।
advertisement
তবে অবিরাম গোস্বামীর এই মন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে এক ইতিহাস রয়েছে। একসময় সাধনার জন্যই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অবিরাম গোস্বামী। আর সেই সাধনা করতেই খানাকুলের দারকেশ্বর নদীর পাড়ে ধানস্থ হয়ে সাধনা করছিলেন। আর তারপরেই মনস্থির করে এখানে গোপীনাথের মন্দির প্রতিষ্ঠা করবেন। সেই সময়ে এই দারকেশ্বর নদী দিয়েই খানাকুলে পৌঁছে যেত স্টিমার লঞ্চ জাহাজ। তবে বর্তমান পূজারীর মুখে শোনা তিনি জানান। খানাকুলের গোপীনাথের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অবিরাম গোস্বামী তিনি একজন সাধক ছিলেন।
দ্বারকেশ্বর নদী সেই সময় বিশাল আকার ছিল। এখানে জাহাজ স্টিমার লঞ্চ বহু মানুষের যাতাচ্ছিল। তবে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর একদিন সাধক অভিরাম গোস্বামী ঠাকুরের কাপড় নদীতে ধরছিলেন। সেই সময় জলেশ্বরতে সে ঠাকুরের কাপড় নিয়ে চলে যায়। আর অবিরাম গোস্বামী অভিশাপ দেয় তোর এত দম্ভ তুই কানা হয়ে যাবি। তারপর কিন্তু নদী শুকিয়ে পাড়ে মাটি পরে পরে ছোট হয়ে যায়। তাই তারপর থেকেই এই নদীর নাম হয়ে যায় কানা দ্বারকেশ্বর। এখন আর জাহাজও চলে না স্টিমারও আসে না লোকজনে যাতা তো কমেছে। সাধনা জেরেই ভগবান গোপিনাথের আবির্ভাব হয়েছিল এখানে। যা সম্ভব হয়েছিল সাধক অবিরাম গোস্বামী।
মন্দিরের সেবাহিত রঞ্জিত গোস্বামী জানান, এখনও বহু মানুষ সারা বছরই অবিরাম গোস্বামীর গোপীনাথের মন্দিরে দর্শন করতে আসে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই জৌলুস না থাকলেও ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরেই বংশপরম্পরা আজও পূজা করে আসছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যে সমস্ত তীর্থস্থান রয়েছে তার মধ্যে খানাকুলে গোপীনাথের মন্দির ও একটি।
Suvojit Ghosh