দুই ভাইয়ের বাবা পঞ্চানন হাজরা ছিলেন আজীবন বামপন্থী। পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির তিন বারের সদস্য ছিলেন তিনি। মা আরতি সাধুখাঁ হাজরা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে এবার পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। দাদা সিপিএম, ভাই বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: জমিতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিবাদ, বারুইপুরে কাকার সঙ্গে এ কী করলেন ভাইপো! শোকের ছায়া
advertisement
বড় ছেলে বিজয়ানন্দ বাবার পথ অনুসরন করেন, বামপন্থী মতে বিশ্বাসী। ছোট ছেলে আনন্দ দেশের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভক্ত। তাই দু’জনে দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট ময়দানে। দুই ভাইয়ের হাঁড়ি পৃথক হলেও মনে মিল আছে। তবে ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে জিততে চান। গ্রামের কাজ, মানুষের কাজ করতে চান। একশো দিনের কাজ বন্ধ, আবাসের ঘর অমিল, পানীয় জলের অভাব, রাস্তার দুর্দশা, গ্রামের মানুষের হাজার অসুবিধা দূর করতে চান।
আর কটা দিন বাকি ভোটের। এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। বাড়ি বাড়ি ঘুরে দু’বেলা কর্মীদের নিয়ে চলছে প্রচার। দুই ভাই দু’দলে হলেও তাঁদের দ্বন্দ্ব নেই। নীতির লড়াই আছে। দু’জনেই অবশ্য দূর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে ভোট চাইছেন।
আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন, অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
বিজয়ানন্দ বলেন, ‘‘ভাই বিজেপির প্রার্থী হয়েছে বলে আমার কোনও অসুবিধা নেই। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে। বাবার কাছে রাজনীতি শিখেছি। আমি বামপন্থী মতে বিশ্বাসী। তাই সিপিএমের প্রার্থী হয়েছি। মানুষকে বলছি, নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমাকে ভোট দিন।’’
আনন্দ বলেন, ‘‘আমি বিজেপির প্রার্থী হব প্রথমটায় বাড়িতে বলতে অসুবিধায় পড়েছিলাম। পরে বাবাকে বুঝিয়েছি। পরিবার আলাদা, রাজনীতি আলাদা জায়গায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমি বিজেপির পক্ষ নিয়েছি।’’
রাহী হালদার