যদি দুর্গাপুজোয় এই পার্কে বেড়াতে আসেন তাহলে কামারপুকুর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত আপনার গন্তব্য। চন্দ্রমণি ইকো ট্যুরিজম পার্কে আসতে চাইলে কলকাতা থেকে প্রথমে ট্রেনে গোঘাট স্টেশন। তারপর ওখান থেকে টোটো বা বাসে পার্কে চলে যাওয়া যাবে। যদি কেউ বাসে করে আসেন, তাহলে কামারপুকুর চটিতে নেমে সোজা ওখান থেকে টোটো করে কুড়ি মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে পার্কে। এখানে আসা মানে সুন্দর মনোরম পরিবেশে কাটানো যাবে গোটা দিন।
advertisement
উল্লেখ্য,কামারপুকুর গ্রামপঞ্চায়েতের উদ্যোগে এই ইকোট্যুরিজিম পার্কটি তৈরি হয়েছে। জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে সাতবেরিয়ায় রয়েছে এটি। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মা চন্দ্রমণিদেবীর নামে এই পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে। পুরো পার্কটি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে গ্রামপঞ্চায়েত।এখানে এলেই মন একেবারে অন্যরকম হয়ে যাবে।
যাঁরা জয়রামবাটি কামারপুকুর দেখতে চান তাঁরা অনায়াসেই এখান থেকে সেখানে যেতে পারেন। কামারপুকুর-জয়রামবাটি ছাড়াও এখান থেকে গড়মান্দারণ, শ্রীহর, দেড়ে গ্রাম। শ্রী রামকৃষ্ণের পৈতৃক ভিটে রয়েছে দেড়েগ্রামে। অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পার্কটি। রয়েছে সুন্দর একটি বাগান। রয়েছে একটি বড় পুকুর।একেবারে গ্রামীণ পরিবেশে থাকার অনন্দ পাওয়া যাবে এখানে। মাটির বাড়ি আর কটেজ রয়েছে। আগে থেকে বুকিং করে আসতে হয়। মাটির বাড়ির দেওয়াল জুড়ে ছবি আঁকা। মাটির ঘর হলেও সবরকম অত্যাধুনিক পরিষেবা রয়েছে এখানে। মাটির কটেজের বাইরের বারান্দায় বসেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়।
এই বিষয়ে কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শুভ্রপ্রকাশ লাহা জানান এখানে থাকার জন্য পাঁচটি কটেজ আছে। এই পার্কে যাঁরা আসছেন, তাঁরা কলকাতা, শিয়ালদহ, হাওড়া-সহ বেশ কিছু জায়গা থেকে আসেন।পার্কে সব রকমই সুব্যবস্থা আছে। তিনি বলেন যদি এই পার্কে যোগাযোগ করে আসতে হয় তাহলে কামারপুকুর পঞ্চায়েত বা ফোনে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। প্রত্যন্ত গ্রাম্য পরিবেশ এবং নিরিবিলিতে সময় কাটাতে ইকো ট্যুরিজম পার্ক বেড়াতে এলে প্রত্যেকের বেশ ভালই লাগবে বলে জানিয়েছেন।