ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের লিফট অপারেটর সৌভাগ্য দাস। চুঁচুড়া থানার ধরমপুরে বাড়ি। মাস খানেক আগে গভীর রাতে হঠাৎ তার বাড়িতে কড়া নাড়ে গাজিয়াবাদের পুলিশ। সৌভাগ্যর আধার কার্ডের ফটো কপি ও মোবাইল নম্বর দেখিয়ে জানতে চায় আধার ও ফোন নম্বর তাঁর কিনা।সৌভাগ্যর পরিবার জানায় সেটা তাঁদেরই। গাজিয়াবাদ পুলিশ জানায়, এক কোটি টাকা প্রতারণা কাণ্ডে সৌভাগ্যর আধার ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার হয়েছে। এ কথা শুনে হতবাক যুবকের পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লজ্জা! যুবতীর সঙ্গে যুবক দলের শিউরে ওঠা কাণ্ড! সমাজের মাথা হেঁট
যুবকের স্ত্রী কাজল দাস বলেন, স্বামীর ৬ হাজার টাকা বেতন। শাশুড়ি পরিচারিকার কাজ করেণ। কোনওমতে সংসার চলে। কোটি টাকা চোখেই দেখেননি কোনওদিন। কে, কাকে, কীভাবে প্রতারণা করেছে সেটাও জানিনা। অথচ পুলিশ এসে বলছে সাদা কাগজে সই করে দিতে। গত ১৩ জানুয়ারি পুলিশ বাড়িতে এসেছিল। সে সময় সৌভাগ্য বা তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সৌভাগ্যের মাকে জিজ্ঞাসা করে ছেলে কোথায়। ছেলের ফোন নম্বর চায় কিন্তু সেই নম্বর দিতে পারেননি বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আধার কার্ড ও ফোন নম্বর নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের আগে চিন্তিত পড়ুয়ারা, পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল কৃতী ছাত্রীর দেওয়া জরুরি টিপস
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রত্না অধিকারী বলেন, গাজিয়াবাদের পুলিশ আসার কথা ওঁরা আমাকে জানায়। পরিবারটি খুবই গরীব। ফোনের সিম তোলা বা কোন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো আধার কার্ড দিয়ে থাকতে পারে। টালির ঘরে থাকে। যদি প্রতারণা করে তাহলে এ ভাবে থাকত না। আমি চাই ছেলেটি কোনওভাবেই যাতে মিথ্যা ফেঁসে না যায়।
এ দিকে, আবার কবে পুলিশ আসবে এই আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে যুবকের পরিবারের। তাই চুঁচুড়া থানায় গিয়ে বিষয়টি জানায়। চুঁচুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, যদি অপরাধ না করে থাকে তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।অনেক সময় সাইবার অপরাধের তদন্তে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসে।আধার, ফোন নম্বর বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণা হয়, যা অনেকে জানতেও পারেন না।
রাহী হালদার