স্থানীয় সূত্রের খবর, পাটনা থেকে কাকার বাড়ি ঘুরতে এসেছিলেন মুন্না কেওয়াট নামের ওই ব্যক্তি। কাকা পিন্টু কেওয়াটের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের জগদ্ধাত্রী তলায়। পিন্টু কেওয়াটের কন্যা হলো সন্ধ্যা। বয়স ১০ বছর। কিছুদিন আগেই পিন্টুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল বছর ২৬ বয়সী মুন্না। পাটনা থেকে এসে গঙ্গায় স্নান করার বড় সাধ ছিল মুন্নার। সেই সাধ মেটাতে পয়লা এপ্রিল দুপুর একটার সময় বোন সন্ধ্যাকে নিয়ে চন্দননগরের বিশালক্ষী ঘাটে স্নান করতে আসেন। যে সময়ে তারা স্নান করতে এসেছিলেন সেই সময়ে ঘাটে বিশেষ কেউ উপস্থিত ছিল না। যে কজন উপস্থিত ছিলেন তারা প্রথমেই মানা করেছিলেন জলে নামতে। কিন্তু সবাইকে উপেক্ষা করে দুই ভাইবোন গঙ্গায় স্নান করতে নামে।
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান, যে সময় তারা স্নান করতে নেমেছিলেন, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জোয়ার শুরু হয়। ছেলেমেয়ে দুটি জোয়ারের টানের ভয়াবহতা আঁচ করতে পারেনি। প্রথমে ছোট বোনটি জলের স্রোতে ভেসে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার বড় ভাইয়েরও সলিল সমাধি ঘটে। মৃত কন্যার বাবা পিন্টু কেওয়াট বলেন, 'আমি জানতাম না আমার ভাইপো সাঁতার কাটতে জানে না। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি গঙ্গার ঘাটে পৌঁছাই। এখনও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।'
দেহ উদ্ধারের জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে একটি স্পিডবোট নামানো হয়েছে। ডুবুরিরা সারাদিন ব্যাপী খোঁজাখুঁজির পরও এখনো দুটি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর তরফে জানানো হয়েছে, আজ যেহেতু অমাবস্যা তাই নদীতে যথেষ্ট পরিমাণে জলের স্রোত রয়েছে। এই স্রোতে উদ্ধার কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগামীকাল আবারো উদ্ধার কাজে নামবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর টিম। চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে গভীর শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।
Rahi Haldar