এই বইয়ের বিষয়ে বিষয়ে প্যাডম্যান ওরফে সুমন্ত বলেন, নারী সুরক্ষার জন্য যে লড়াই তিনি করে আসছেন সেই লড়াইকে একধাপ এগিয়ে দিল এই বই। কলকাতা বইমেলায় রুপালী প্রকাশনীর ১০৬ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। সুমন্ত বিশ্বাসের ছাত্রী ঋতু শিক্ষক দিবসে এই বইয়ের খসড়া পান্ডুলিপি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তখনই ঠিক করা হয় বইটি ছেপে বার করা হবে। সেই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রকাশকের খোঁজ চলছিল। রুপালী প্রকাশনী বইটির কথা জানতে পেরে এক কথায় প্রকাশ করতে রাজি হয়ে যায়। সেই বই'ই এবারের কলকাতা মেলায় প্রকাশিত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মধু চা বাগানে এবার চোখের আলো, বিনা পয়সায় ছানি কাটতে পারবেন চা শ্রমিকরা
বাংলার প্যাডম্যান বইয়ের বিষয়ে লেখিকা ঋতু দাস বলেন, তিনি যখন স্যারের কাছে পড়তে ভর্তি হন তখন থেকেই স্যারের কাজকর্ম দেখে উদ্বুদ্ধ হন। নারী সচেতনতা নিয়ে স্যারের এই কাজ যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাই তিনি এই বইটি লিখেছেন। তিনিও একজন নারী, চান সুমন্তরবাবুর সচেতনতার মাধ্যমে সমাজের নারীদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তার পরিবর্তন হোক।
এই বইয়ের প্রথম পাঠক ডঃ শতাব্দী মিত্র বলেন, সমাজে এখনও মহিলাদের ঋতুকালীন বিষয় নিয়ে অনেক কুসংস্কার রয়েছে। মানুষজন যত এই ধরনের বই পড়বে ততই তারা এই ধরনের কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসবে। একই সঙ্গে তিনি বইয়ের লেখিকা ঋতু দাস এবং মূল চরিত্র 'বাংলার প্যাডম্যান' সুমন্ত বিশ্বাসকে সাধুবাদ জানান।
রাহী হালদার