স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু প্রামাণিক বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদেরকে ওই জমিতে কাজে লাগিয়েছিলেন। কাজ শুরুর দিনে খাতায় সই করা থেকে শুরু করে ছবি তোলা সবই হয়েছিল। রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা অ্যালোভেরা বাগানের মাটিকাটার, মাটি সমান করা, গাছ লাগানো, গাছের পরিচর্যা করার মত সব কাজই করেন। গত বছর গ্রীষ্মকালে এই কাজ হয়েছিল। কাজে সামান্য ভুল হলে শান্তনু প্রচণ্ড রাগারাগি করত বলে ওই তিনি দাবি করেন। ২০-২২ দিন এই অ্যালোভেরা বাগানে কাজ হয়। কিন্তু কেউই একটা টাকাও পারিশ্রমিক পাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার পরিচিত গন্ধগোকুল আতঙ্ক ছড়াল শহরে!
বাসন্তী হালদারও ওই অ্যালোভেরা বাগানে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ করেছিলেন। টালির একচালা ঘরে কোনরকমে স্বামীর সঙ্গে থাকা বাসন্তীর আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসই হল এই ১০০ দিনের কাজের টাকা। কিন্তু তাঁকেও এক কানাকড়ি দেননি শান্তনু ও তাঁর দলবল, এমনই অভিযোগ। বাসন্তী হালদারের দাবি, তিনি টাকা চাইলে পরে দেওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও সেই টাকা আর হাতে আসেনি।
শুধুই অ্যালোভেরা বাগান নয়, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ ঠিক উল্টো দিকে থাকা শান্তনুর রিসর্টেও হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে গ্রামবাসীদের দিয়ে গোটা রিসর্ট সাফসুতরো করা হলেও কাউকে ফুটো কানাকড়িও দেননি হুগলির এই দাপুটে নেতা। নিজের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে অনেকের ১০০ দিনের কাজের জব কার্ডও কেড়ে নেন বলেও গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, শান্তনু মোটেও গরিবদেয দেখতেন না। উল্টে তাঁদেরকে ঠকিয়েছেন। তাই তাঁর যেন কঠোর শাস্তি হয়।
রাহী হালদার