স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বরূপের বাবা সাইকেলে করে লটারি টিকিট বিক্রি করতেন দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে। আরামবাগের চন্দ্রকোনা এলাকায় ছোট্ট মাটির কুড়ে ঘরই তাদের অস্থানা। ছেলে স্বরূপ স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সে তার বাবার থেকেই টিকিটটি সংগ্রহ করেন। টিকিটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই শুরু হয় বিপত্তি। স্বরূপ ও তার বাবাকে রাস্তায় চার পাঁচ জন দুষ্কৃতী আটক করে। তাদের থেকে টিকিটটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কোনক্রমে স্বরূপ ও তার বাবা প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় ওই জায়গা ছেড়ে। ভয়তে তারা আর রাতে পাশের একটি গ্রামে এক নিকট আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। সেদিন রাত থেকেই শুরু হয় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
advertisement
আরও পড়ুন Dhanteras: এক রাতেই বড়লোক হলেন ঝাঁটা ব্যবসায়ীরা, ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার হিড়িক জেলায়
স্থানীয় এক বাসিন্দা মাধবী বাগ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাইক নিয়ে কিছু দুষ্কৃতী তার ভাসুর স্বরূপ বাঘের বাড়িতে হানা দেয়। স্বরূপ ও তার বাবা প্রাণের ভয়ে আগেই গা ঢাকা দিয়েছিল অন্যত্র। ফাঁকা বাড়িতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা লটারি টিকিটটি খোঁজে। খুটখাট শব্দ পেয়ে মাধবী দেবীর ঘুম ভেঙে যায়৷ তিনি বাইরে এসে দেখেন তার ভাসুরের বাড়িতে বেশ কিছু লোক ঢুকে রয়েছে। তিনি চেঁচামেচি করতেই লোকজনরা পালিয়ে যায় সেখান থেকে। তিনি আরও জানান এতদিন তাদের কাছে টাকা পয়সার অভাব ছিল কিন্তু প্রাণের ভয়ে ছিল না। এখন লটারিতে টাকা জিতে প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত পরিবারের লোকজনরা।
আরও পড়ুন Birbhum News :খেলা হওয়ার আগেই শেষ 'খেলা হবে' নিষিদ্ধ শব্দবাজি
এ বিষয়ে স্বরুপ বাগ জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিনই সে লটারির টিকিট কাটতেন। কখনও বাবার থেকে কখনও অন্য কারও থেকে। সেই মতনই বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ থেকে ফেরার সময় লটারি টিকিট কাটেন তিনি। রাতে জানতে পারেন যে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই একদল দুষ্কৃতী তার থেকে টিকিট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কোনক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালায় স্বরূপ ও তার বাবা। ওই রাতে পাশের গ্রামে এক নিকট আত্মের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় তারা। পরদিন সকাল হতেই আরামবাগ থানায় পুলিশের দারস্ত হন তিনি। প্রাণের ভয়ে তার পরিবারের লোকজনদেরকেও অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি পুলিশ থানাতেই রয়েছেন বাড়ি আসার সাহস করে উঠতে পারছেন না তারা
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বরূপ এবং তার বাবা আতঙ্কিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। শুক্রবার থেকেই ওই দু’জন থানাতেই রয়েছেন।
রাহী হালদার






