মনোতোষ ঘোষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের সমাজবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়া। যাদবপুরের ঘটনায় মনোতোষের গ্রেফতারি নিয়ে রীতিমতো হতাশায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এমনকি এলাকার প্রতিবেশীরাও মানতে পারছেন না সে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন মনোতোষের বাবা এবং মা।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যময় মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রর। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার হয় আরামবাগের যুবক মনোতোষ ঘোষ। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হওয়ার এক ঘণ্টা পরেই সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই আরামবাগের ওই যুবককের নাম উঠে আসে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে মনোতোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘কোলে নিয়ে ট্যাক্সিতে তুলেছিল ওঁরা…’, উদ্ধার রক্তমাখা বিছানার চাদর, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুতে নয়া মোড়
এ প্রসঙ্গে মনোতোষের বাবা জানান, “ছেলে কিছুদিন আগে ফোন করেছিল। মৃত পড়ুয়া হোস্টেলে তাদের কাছে থাকত। তার বাবাকে কিছু জন ফোন করে বলে ভয়ের কিছু নেই। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। ছোটবেলা থেকেই মনোতোষ পড়াশোনায় ভাল ছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জন্য কষ্ট করে টাকা রোজগার করে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু এমন এক ঘটনা ঘটল, সব শেষ হয়ে গেল…”। অন্যদিকে, তাঁর মা জানান, “ছোটবেলা থেকেই ছেলে পড়াশুনায় ভাল। তাই তাঁকে যাদবপুরে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় ছেলে যে যুক্ত, ভাবতেই পারছি না। কি হবে ছেলের, ভেবেই ভয় হচ্ছে।”
প্রতিবেশীদের দাবি, মনোতোষ পড়াশোনা এবং ব্যবহারের দিক থেকে ভাল ছিল। বাড়ি এলে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করত। কিন্তু এই ঘটনায় কিভাবে যুক্ত হতে পারে, তাও মানতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
Suvojit Ghosh