পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মিতা বাগদি নামে উত্তরপাড়া ভবঘুরে হোমের এক আবাসিককে। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান প্রাপ্ত বয়স্ক ওই মহিলা। গত এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখেও ঘটে একই ঘটনা। স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয় দুই নাবালিকা। পরেরদিন তাদের ব্যান্ডেল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আবারও এক হোমের এক আবাসিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় হোমের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একটি রাজনৈতিক দল।
advertisement
আরও পড়ুন: মানিকচক শিক্ষা নিকেতনে লোকগানের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ-শিশুশ্রম বিষয়ক সচেতনতা অনুষ্ঠান
বিক্ষোভকারিদের দাবি, আবাসিকের নিখোঁজের ব্যাপারে হোমের কাছে জানতে চাইলে হোম কর্তৃপক্ষ তাদের কিছু জানাতে চায়নি। অভিযোগ, তাদের কাছে মহিলা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে সূত্র মারফত। খবর পেয়ে তারা যোগাযোগ করেন আবাসিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আবাসিক কর্তৃপক্ষ তা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে। তারা জানান, ওই নামে ওই আবাসনে কোন মহিলা থাকেন না। পরবর্তীতে দেখা যায় হোমের তরফে উত্তরপাড়া থানায় মিসিং ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ঘটনার সত্যতা। এর পরেই বারবার কেন আবাসিক নিখোঁজের ঘটনা হচ্ছে সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা তাদের শাস্তির দাবির পাশাপাশি নিখোঁজ আবাসিককে উদ্ধারের দাবি জানায় বিক্ষোভকারিরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে হোমের সামনে থেকে বিক্ষোভ সরিয়ে দেয়।
শুধুমাত্র হুগলির ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় হোম থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার নজির রয়েছে।সরকারি ভবঘুরে আবাসিক থেকে বারবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছন এই সমস্ত হোমের নিরাপত্তা নিয়ে।
রাহী হালদার