স্থানীয় সূত্রে খবর, অক্সিজেন সিলিন্ডারের এই কারখানাটি প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি পুরনো। এই কারখানা থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়াও এই বিস্ফোরণের জেরে আহত হন পাঁচজন শ্রমিক। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ চন্দননগরের একাধিক স্কুলের বেহাল দশা! ঠিক কী কারণে এই অবস্থা?
advertisement
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, তারা সকলে মিলে কাজ করছিলেন। হঠাৎই একটি বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। শব্দ অনুসরণ করে বাকি শ্রমিকরা ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান তাদেরই এক সহ কর্মী বছর ২৫ এর কালিপদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শ্রমিকদের দাবি বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই তীব্র ছিল যে কারখানার সেডের একাংশ উড়ে যায় বিস্ফোরণের ফলে। লোহার টুকরো ছিটকে হাত ভাঙে এক শ্রমিকের। পেটে লেগে ছিটকে পড়েন একজন। প্রচন্ড শব্দে কানে তালা লেগে যায় শ্রমিকদের। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত মুরাদ আলি, সন্তু থাপা, রাজা ঘোষের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। বিকাশ মন্ডল, ভৈরব দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় থাকা কালিপদ মাঝিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কারখানা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Rahi Haldar