আরও পড়ুন : রবি ঠাকুরের হাত ধরে এ দেশে নৃত্যকলার প্রসার
বেলা, রথী, রাণু (রানি), মীরা, শমী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঞ্চসন্তান ৷ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পেয়েছেন দুঃখ অপার ৷ বাবা, মা, দাদা, বউদি, স্ত্রী, সন্তানের মৃত্যু তাঁর মনকে ভারাক্রান্ত করেছে কিন্তু তাঁর জীবন দর্শন বা জীবনের গতিকে স্তব্ধ করতে পারেনি ৷ ইন্দিরাদেবীর মৃত্যু তাঁকে গভীর ভাবে মর্মাহত করে ছিল ৷ দুঃখের আঘাতকে তিনি জীবন দেবতার প্রেম বলে মানতেন ৷ জীবনের যন্ত্রণার উদ্দেশে তাঁর বার্তা যত বড় হও তুমি তো মৃত্যু চেয়ে বড় নও আমি মৃত্যু চেয়ে বড় এই শেষ কথা বলে যাব আমি চলে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : Rabindranath Tagore: ২২ শে শ্রাবণ রবিঠাকুরের প্রয়াণের খবর পেয়ে এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন কাজী নজরুল
এমন এই প্রথা বিরুদ্ধ ব্যক্তিত্ব আস্তে আস্তে বাঙালির কাছে মনের ঠাকুর, প্রাণের ঠাকুরের পরিণত হয়েছে ৷ শান্তিনিকেতনের প্রতিটি ইঁট কাঠ পাথরে রবীন্দ্র ছোঁয়ায় ভরে উঠেছে এক নতুন সমাজের ৷ এক নতুন দিগন্তের ৷ আসলে রবীন্দ্রনাথ এমন এক আকর্ষণ যাঁর কাছে থেকে অজানা করাণে দূরে সরে গিয়ে ফিরে আসতে হয় এক চেনা, জানা কারণে ৷ বাঙালির কোনও অনুষ্ঠানই রবীন্দ্রনাথকে ছেড়ে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয় ৷ রবীন্দ্রনাথ আমার, আপনার, সবার ৷