কোমল বাজাজ ৷ বয়স ২৩ ৷ মাসখানেক আগে নিউ আলিপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের বি কম-এর ওই ছাত্রীর তলপেটে প্রবল ব্যথা শুরু হয়৷ যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কোমলকে৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গল ব্লাডারে স্টোন ও প্যানক্রিয়াটাইটিস ধরা পড়ে৷ এক সপ্তাহ চিকিত্সার পর পিজি-তে স্থানান্তরিত করা হয় কোমলকে৷ ভর্তি করা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডের ১১বি নম্বর কেবিনে ডা. মাখনলাল সাহার অধীনে | সোমবার ল্যাপারোস্কোপিক কোলেভিসটেকটমি অস্ত্রোপচার হয়৷ ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে গল ব্লাডার স্টোন অপারেশন খুবই সহজ গিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু, কোমলের ক্ষেত্রে সার্জেনরা সমস্যায় পড়েন৷ এক এক করে পিত্তথলি থেকে বেরিয়ে আসে ১১১০ টি পাথর৷ এত পাথর দেখে ডাক্তার ও রোগিণী সবাই চমকে যান৷ ছোট ফুটো দিয়ে এতগুলি পাথর সরাতে প্রাথমিকভাবে সমস্যায় পড়েন ডাক্তাররা৷ কিন্তু চিকিত্সক মাখনলাল সাহা ও তাঁর সহকারী চিকিত্সকরা মুন্সিয়ানার সঙ্গে অস্ত্রোপচারের কাজ শেষ করেন৷ বের করেন পাথর৷ কোমল এখন বিপন্মুক্ত৷ মাখনলাল সাহা জানান, ‘দু'মাস আগে এক মহিলার গল ব্লাডার থেকে অপারেশন করে ৩৬০ টি পাথর বের করেছিলাম৷ এবার সংখ্যাটা তিনগুণ হয়ে গেল৷ এত পাথর নজিরবিহীন ৷’ অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে মাখনলালবাবুকে সাহায্য করেছেন ডা. সৌমেন দাস, ডা. প্রকাশ ভগত, ডা. চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷ তাঁরাও পাথরের সংখ্যা দেখে চমকে গিয়েছেন৷ জানিয়েছেন, গল ব্লাডারে এত পাথর তাঁরা কখনও দেখেননি বা শোনেনওনি৷ এই অভূতপূর্ব ঘটনার শরিক হতে পেরে তাঁরাও খুশি৷
advertisement