TRENDING:

Musical Instruments : কানে শুনতে পান না নিজে অথচ বাদ্যযন্ত্রের বিশ্বকর্মা 

Last Updated:

কানে না শুনতে পেলেও নিখুঁতভাবে ঠিক করেন খোল তবলা। অবিবাহিত প্রকাশ দাস তার পৃথিবী দেখেন নিজের এক টুকরো দোকান ঘরে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : তিনি যেন বাদ্যযন্ত্রের বিশ্বকর্মা। তার প্রতিভায় সুর ওঠে খোল তবলায়। বিশেষভাবে সক্ষম তিনি। তবুও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের জোরে তিনি পার করে যান সমস্ত চ্যালেঞ্জ। শিল্পীরা অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য হন, যে তাদের হাতে ভুল হয় কিন্তু বাদ্যযন্ত্রের (Musical Instruments)বিশ্বকর্মা প্রকাশের কখনও ভুল হয় না। যদিও তিনি কোনও ভাবেই শিল্পী নন। একজন বাদ্যযন্ত্রের মেকানিক মাত্র। কানে না শুনতে পেলেও নিখুঁতভাবে ঠিক করেন খোল তবলা।অবিবাহিত প্রকাশ দাস তার পৃথিবী দেখেন নিজের এক টুকরো দোকান ঘরে। চার ফুট বাই সাত ফুট দোকান ঘরটাই তার কাছে আশ্রয়।ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন করেন প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের ইশারার মাধ্যমে। কেউ ফোন করলে, ফোনটা ধরিয়ে দেন আশপাশের ব্যবসায়ী দাদাদের হাতে। এভাবেই প্রকাশ দাস চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের জীবনযুদ্ধ। প্রতিভার আর এক নাম হয়ে উঠেছেন প্রকাশ দাস। দুর্গাপুর (Durgapur)স্টেশন বাজারের(Station Bazar) এক টুকরো দোকানে বসবাস করছেন বাদ্যযন্ত্রের এই বিশ্বকর্মা।
advertisement

দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিশেষভাবে সক্ষম প্রকাশ নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছেন খোল - তবলা'র তালে। কানে না শুনেও তাঁর পারদর্শিতা সহ দক্ষতা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তবলিয়া সহ সঙ্গীত শিল্পীদের(Artists)। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়েছে তাঁর মনোবল। বর্তমানে একাকীত্ব জীবনযাপনের মধ্যেই পূর্বপুরুষের জীবিকাকে(Livelihood) জীবিত রেখেছেন তিনি। দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকায় রয়েছে প্রকাশবাবুর খোল - তবলা তৈরীর ও মেরামতি'র একটি ছোট্ট টিনের চালের দোকান ঘর। ৪ ফুট বাই ৭ ফুটের ওই দোকানঘরেই তাঁর বসবাস। বাড়িঘর নেই তাঁর। তাঁর বাবা নেপাল রুইদাস পূর্বপুরুষ ধরে খোল - তবলা তৈরীর ও মেরামতির কাজ করতেন। তাঁর দোকান ছিল ওই বাজার এলাকায়।

advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রায় ২০ বছর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রকাশবাবুর মা গীতা রুইদাস বার্ধক্যজনিত কারণে গত প্রায় ৪ বছর আগে পরলোকগমন করেন। প্রকাশবাবু ও তাঁর একমাত্র বোন ববি রুইদাস জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। বোন বর্তমানে বিবাহিতা। কিন্তু প্রকাশবাবু এখনও অবিবাহিত। ভিড়ে ঠাসা জনবহুল বাজারে যানবাহনের শব্দের মধ্যে পরিবার পরিজন হারা প্রকাশবাবু দোকানঘরে বসে নিঃশব্দ পৃথিবী দেখেন। আশপাশের ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর ভরসা করেই গ্রাহকদের সাথে করেন লেনদেন। এই ভাবেই দীর্ঘ ২০ বছর পার হয়ে গিয়েছে তাঁর।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/durgapur/
Musical Instruments : কানে শুনতে পান না নিজে অথচ বাদ্যযন্ত্রের বিশ্বকর্মা 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল