TRENDING:

Booster To Prevent Omicron: ভয় দেখাচ্ছে ওমিক্রন! শীঘ্রই আসতে পারে ভ্যাকসিন বুস্টার, জানুন কারা আগে পাবেন এই ডোজ!

Last Updated:

Covid 19 Vaccine Booster Dose: যাঁরা ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের সবার আগে অতিরিক্ত সুরক্ষা কবচ লাগবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসতে না-আসতে ফের আতঙ্ক ওমিক্রনের (Omicron)। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই আক্রমণ শানিয়েছে মারণ করোনাভাইরাসের এই বিপজ্জনক ভ্যারিয়ান্ট। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়।
advertisement

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে নানা মহলে। আর আমরা যে সব ভ্যাকসিন নিয়েছি, সেই সব ভ্যাকসিন আদৌ এই ভ্যারিয়ান্টকে প্রতিরোধ করতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। এখানেই সব থেকে বড় চিন্তার বিষয়।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, দেশের পপুলেশন গ্রুপের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা উত্থাপন করেছে ইন্ডিয়ান সার্স-সিওভি-২ জিনোমিক কনসোর্টিয়াম বা আইএনএসএসিওজি (INSACOG)।

advertisement

এই সংক্রমণের জটিলতা বিষয়ক ঝুঁকি যাঁদের রয়েছে, তাঁদেরকেই মূলত আগে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছে আইএনএসএসিওজি। তারা আরও জানিয়েছে যে, যাঁদের বয়স চল্লিশের উপর, তাঁদেরকেও আগে এই ডোজ দেওয়া উচিত। তবে এটা শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে যত ক্ষণ না সরকার থেকে নির্দেশিকা আসছে, তত ক্ষণ এই ব্যবস্থা লাগু করা যাবে না।

advertisement

বর্তমানে বৈজ্ঞানিক মহলে এবং সংবাদ মাধ্যমে বুস্টার ডোজ নিয়ে নানান রকম যুক্তি-তর্ক এবং আলাপ-আলোচনা চলছে। কয়েক জন বিশেষজ্ঞ, যাঁরা স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন, তাঁরা আবার পরামর্শ দিচ্ছেন যে, আগে সমস্ত যোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করাতে হবে। সেই সঙ্গে ষাট বছর বয়সের উর্ধ্বে সকল নাগরিককে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার নির্দেশিকা আনা হোক।

advertisement

আরও পড়ুন- ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কি লড়তে পারবে ভারতে ব্যবহৃত টিকাগুলি? কী জানা যাচ্ছে

আসলে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষমতায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই বিশেষজ্ঞরা। তাই তাঁদের মতে, যাঁরা ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের সবার আগে অতিরিক্ত সুরক্ষা কবচ লাগবে।

তবে এই প্রসঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে গেলে কয়েকটি প্রশ্ন উঠবেই। কাদের এই বুস্টার ডোজ আগে দেওয়া উচিত? সমস্ত ভ্যাকসিনেটেড প্রাপ্তবয়স্কেরই এই ডোজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? একটা বুস্টার ডোজই কি যথেষ্ট? কোন কোন ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ লাগবে আর ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হওয়ার কত দিনের মধ্যে বুস্টার দিতে হবে? বুস্টার যে নতুন বিপজ্জনক ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এর কি কোনও প্রমাণ আছে?

advertisement

বুস্টারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান:

যখন প্রথমে কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়, তখন গোটা বিশ্বই এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছিল। এই সব ভ্যাকসিন আদৌ সংক্রমণ রুখতে পারবে কি না, সেই বিষয়েও তখন ভিত্তিহীন আশা ছিল মানুষের। ইন্ট্রা-মাস্কুলার ভ্যাকসিন পদ্ধতিগত ইমিউন রেসপন্স উদ্দীপ্ত করে। শ্বাসনালীতে ভাইরাসের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, কিন্তু প্রাথমিক স্তরের সংক্রমণ রুখতে পারে না। ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই ভ্যাকসিন দারুণ ভাবে সহায়তা করে।

শুধু তা-ই নয়, মারাত্মক অসুস্থতা এবং মৃত্যু পর্যন্ত রুখে দিতে পারবে এই ভ্যাকসিন। আসলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের এক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রয়োজন হয়। ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার পরে শ্বাসনালীর মিউকাস মেমব্রেনে স্থায়ী ভাবে বাস করতে শুরু করে দেয়, তখন সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সেই অ্যান্টিবডিই ওই ভাইরাসকে সাফাই করে বার করে দেয়।

আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কি থাকে? জানুন ও সতর্ক হোন

কোভিডের এই মিউকোজাল ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে এবং ট্রায়ালও চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রমাণিত তথ্য সে ভাবে পাওয়া যায়নি। এগুলো কতটা কার্যকরী, সেটা এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকেই জানা যেতে পারে।

কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। বর্তমানে অনুমোদন প্রাপ্ত যে সব ভ্যাকসিন বাজারে মিলছে, সেগুলি পরীক্ষায় পাশ করেছে।

বাস্তবে বড় জনসংখ্যা গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্যাকসিন দান করার পরেই জানা যাবে যে, কত সময়ের মধ্যে ইমিউন রেসপন্স তৈরি হচ্ছে। এ বার পরে নতুন নতুন ভ্যারিয়ান্ট এলে লাইসেন্স-প্রাপ্ত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমেই জানা যাবে। আসলে ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানীরা আগে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির ক্ষমতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। সাধারণত বিপুল জনসংখ্যায় যুগান্তকারী সংক্রমণের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়ে থাকে।

বাজারে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন আসলে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ভাইরাসের বাইরের দেওয়ালের উপর স্পাইকগুলি থাকে। এই স্পাইক ব্যবহার করেই ভাইরাস মানব দেহের কোষের এসিই ২ রিসেপ্টরের সঙ্গে নিজেকে আটকে ফেলতে পারে এবং কোষে প্রবেশ করার রাস্তা তৈরি করে।

এ বার কোষের জেনেটিক মেটেরিয়াল ব্যবহার করে নিজের অনেক প্রতিলিপি বানাতে থাকে ওই ভাইরাস। মূল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরী এমআরএনএ (mRNA) ভ্যাকসিন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তাদের মাত্রা কমে যায়।

ফাইজার-বায়োএনটেক (Pfizer-BioNTech) ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের ১৫ মাস পরেই মাত্রা কমে গিয়েছে। আবার মডার্না ভ্যাকসিনে অতি মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টিজেন। ফলে মনে করা হয়েছিল যে, এর কার্যকারিতাও দীর্ঘস্থায়ী হবে, কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রকট হয়ে উঠছে।

মূল ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্ট আলফা থেকে ডেল্টা- এগুলি আসার পর থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও কমেছে। যেমন- উহানে উৎপন্ন মূল ভাইরাসটিকে প্রতিহত করতেই বানানো হয়েছিল এমআরএনএ ভ্যাকসিনগুলি। কিন্তু তার পরেই আলফা ভ্যারিয়ান্ট চলে আসায় এর কার্যকারিতা কমে আসতে থাকে। আবার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট আসার পরে ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা আরও কমে যায়।

আরও পড়ুন- Omicron ভ্যারিয়ান্টের উপর কি কাজ করবে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন? কবেই বা আসবে নতুন টিকা?

স্পাইক প্রোটিন মিউটেশনের সংখ্যা এবং আকার-আকৃতির কারণেই এমনটা সাধারণত হয়ে থাকে। আসলে নতুন ভ্যারিয়ান্টের স্পাইক প্রোটিনের ধরন মূল ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের ধরনের তুলনায় আলাদা হয়ে থাকে। তাই এর জন্য অতিরিক্ত বুস্টার ডোজের প্রস্তাব আনা হয়েছে।

ভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা বেশ অনেকটাই বেশি। তাই ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হওয়ার ১০-১২ মাসের মধ্যেই শুধুমাত্র বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে।

কোভ্যাকসিনের মতো ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভাইরাস ভ্যাকসিনগুলির ক্ষেত্রে মেয়াদকাল পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, তবে প্রস্তুতকারীরা জানাচ্ছেন যে, ছয় মাসের মধ্যে এর বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে। ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করার জন্য এই ধরনের ভ্যাকসিন বড় পরিমাণের ভাইরাল অ্যান্টিজেন প্রদান করে।

বুস্টার সমজাতীয় হতে পারে, অর্থাৎ একই ভ্যাকসিন দুবার ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার বুস্টার ভিন্নধর্মীও হতে পারে, সে ক্ষেত্রে অন্য প্ল্যাটফর্মের কোনও ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

বুস্টার ডোজ নিয়ে নানান রকম প্রশ্ন উঠবেই। এখনও সেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন যে, এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে আর একটু বদল করা হবে। সেই সঙ্গে ভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের প্রোটিন কোডেও ছোটখাটো বদল আনা হবে, যা কার্যকর ভাবে ভ্যাকসিনকে প্রতিরোধ করতে পারবে।

এটা কত সময়ের মেয়াদে প্রয়োজন হবে, সেটা এখনও জানা যায়নি। এর মধ্যে ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভাইরাস ভ্যাকসিন বুস্টারের জন্য ব্যবহার করা যাবে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই। কারণ এটা স্পাইক-স্পেসিফিক নয়।

বুস্টার সংক্রান্ত বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড:

যে সব দেশে ভ্যাকসিনের জোগান এখন যথেষ্ট রয়েছে, সেই সব দেশে এখনই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। প্রায় ছয় থেকে আট মাস আগেই যাঁদের ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হয়েছে, তাঁদেরকেই এখন বুস্টার ডোজ নিতে বলা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, বয়স্ক, ইমিউনিটি কম এবং কো-মর্বিডিটি আছে, এমন সব মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে প্রথমে। এমনকী স্বাস্থ্যকর্মীরাও আগেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুযোগ পাবেন, কারণ তাঁদের ক্ষেত্রে বার বার ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে।

ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রভাব ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে, কিন্তু ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে জনসমাগম ঘটলেও ডেল্টা ভাইরাস আবার ফিরেও আসতে পারে। এ বার ওমিক্রনের দাপটও মারাত্মক। এই ভ্যারিয়ান্টটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে, সেটা হল-- এই ভ্যারিয়ান্ট দ্রুত সংক্রমিত করতে পারলেও এর মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। তবে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং ইমিউনিটি কম, এমন মানুষের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আর ঝুঁকির শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। কারণ তাঁরা সরাসরি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসছেন। আর তাঁদের ভ্যাকসিনেশন ডোজ কমপ্লিট হয়েছে অনেক দিন আগেই অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই। কিন্তু সবার জন্য বুস্টার ডোজ আনা হবে কি না, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা এখনও আসেনি।

বুস্টার ডোজের কবে এবং কাদের দেওয়া হবে, সেই সব বিষয় নির্ভর করছে এর জোগানের উপর। তবে সবার আগে সরকারের মূল লক্ষ্য, দেশের সব নাগরিকের ভ্যাকসিনেশনের দুই ডোজ সম্পূর্ণ করা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
৪০ ফুটের কালী! পুজোয় মেগা আয়োজন, এখন থেকেই 'এই' মণ্ডপে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়
আরও দেখুন

আবার এ দিকে, ওমিক্রন যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ঝুঁকির শীর্ষে থাকা মানুষদের সবার আগে সুরক্ষিত করতে হবে। এ বার আগামী কয়েকটি সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ওমিক্রন কেমন আকার ধারণ করছে, সেটা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে। আর সেই সঙ্গে আগামী কয়েক সপ্তাহে ওমিক্রনের চেহারা দেখেই বুস্টার ডোজের সিদ্ধান্তেও উপনীত হওয়া যাবে।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Booster To Prevent Omicron: ভয় দেখাচ্ছে ওমিক্রন! শীঘ্রই আসতে পারে ভ্যাকসিন বুস্টার, জানুন কারা আগে পাবেন এই ডোজ!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল