আরও পড়ুন: বড় খবর, আমূল বদলে যাবে কলকাতা বিমানবন্দর! কী পরিবর্তন আসছে?
লো সুগার ডায়েট কেন প্রয়োজন?
সাধারণ কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরের ওজন কম রাখতে হয়। কিছু রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতেও প্রয়োজন শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখা। যেমন-
আরও পড়ুন: রাজ্যের উপর দুটি নিম্নচাপ, আচমকাই বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া? যা বলছে হাওয়া অফিস...
advertisement
১. ওবেসিটি বা মেদ বহুলতা
২. হৃদরোগ
৩. টাইপ ২ ডায়াবেটিস
৪. উচ্চ রক্তচাপ
৫. উচ্চ মাত্রার কোলেস্টোরল
৬. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
৭. দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি
লো সুগার ডায়েটে কী কী থাকে?
লো সুগার ডায়েট না হয় মেনে চলা হল। কিন্তু খাদ্যতালিকায় কী থাকবে?
এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে যাতে শর্করার পরিমাণ কম। কিন্তু অন্য দিক থেকে তা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে। এমন কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, ফল, দানা শস্য, বিন, শিম, মাছ, মশলাপাতি, চর্বিহীন প্রোটিন, বাদাম, বীজ, মিষ্টি আলু প্রভৃতি। এ সব খাবারের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম, ক্যালোরির পরিমাণও কম। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। সব থেকে বড় বিষয় হল এ সব খাবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, জিঙ্ক-পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ যা, আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে তা বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ বা উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখতেও সাহায্য করে।
যে সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
সারা দিনে আমরা এমন অনেক খাবার খেয়ে থাকি যার আসল গুণাগুণ বা ক্ষতিকর দিকটি খেয়াল করি না। যে সব খাবারে শর্করার পরিমাণ বেশি সে সব খাবার নিত্য দিনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভাল। যে সব ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি (High Glycemic Index Scale) যেমন, আনারস, আম, পেপে, তরমুজ, আঙুর ইত্যাদি কম পরিমাণে খাওয়াই ভাল। সাদা পাঁউরুটি, ময়দা, প্রসেসড চিনি, ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত খাদ্য যেমন, চিপস, বিস্কুট, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বাদ দেওয়াই ভাল। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
লো সুগার ডায়েট ঠিক কী ভাবে আমাদের উপকারে আসে?
ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে এক এবং একমাত্র পথ হতে পারে এই লো সুগার ডায়েট। তা ছাড়া, এতে খুব সহজে শরীরের ওজন ধরে রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। রক্তে ভাল কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাতে হৃদরোগের সম্ভাবনা কম হয়। শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ত্বকের উপরও বিশেষ প্রভাব ফেলে খাদ্যাভ্যাস। লো সুগার ডায়েটের ত্বকও ভাল থাকে।
লো সুগার ডায়েটের কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
তবে লো সুগার ডায়েটের সবই যে উপকারের দিক, তা নয়। কারণ শরীরের শর্করারও বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। খুব বেশি মাত্রায় রক্তে চিনির পরিমাণ কমে গেলে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। দিনের পর দিন শর্করা বিহীন খাদ্যাভ্যাস অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের গোলমাল হলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। কারণ হয় তো রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি কমে গিয়েছে। ফলে সব কিছুই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করা উচিত। ক্লান্তি বা দুর্বলতা বোধ হলে আপেল, কলা, কমলা লেবুর মতো ফল খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ সব ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের পক্ষে উপকারী।