TRENDING:

Explained: NATO-তে কেন যোগ দিতে চায় ফিনল্যান্ড? পুতিনের সমস্যার কারণ কী?

Last Updated:

সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পায় ৭৫ শতাংশ ফিনল্যান্ডবাসী এই পদক্ষেপের পক্ষে রয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো (Sauli Niinisto) রবিবার নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিক নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে আন্তঃসরকারি সংস্থা NATO সামরিক জোটের সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করবে। ইউক্রেনে (Ukraine) মস্কোর আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার প্রতিবেশীরা ৩০ বছরের পুরোনো সামরিক জোটের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করার কথা ভাবছে। ন্যাটোর উপপ্রধান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে সংস্থাটি তুরস্কের আপত্তি দূর করতে এবং দ্রুত ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে স্বীকার করতে পারবে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপ্রত্যাশিতভাবে আপত্তি জানিয়ে এই পদক্ষেপকে 'অগ্রহণযোগ্য এবং আপত্তিকর' বলে অভিহিত করেছেন।
advertisement

আরও পড়ুন Explained: যুদ্ধ ও এবং জলবায়ু পরিবর্তনের আবহে কি দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তেই থাকবে?

গত ২ দশক ধরে ফিনল্যান্ডের মাত্র ২০-৩০ শতাংশ জনগন ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ায় সম্মতি জানায়। সম্প্রতিসমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পায় ৭৫ শতাংশ ফিনল্যান্ডবাসী এই পদক্ষেপের পক্ষে রয়েছে।

ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের তাৎপর্য

১। মস্কোর এক শতাব্দীরও বেশি শাসনের পর ১৯১৭ সালে স্বাধীন বলে ঘোষণা করা হয় ফিনল্যান্ডকে। যুক্তরাজ্য স্থিত মিডিয়া সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান (The Guardian) জানিয়েছে, ফিনল্যান্ডের সেনাবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে দু'বার লড়াই করেছিল এবং এখানকার প্রায় ১০ শতাংশ অঞ্চল দখল করেছিল।

advertisement

২। ফিনল্যান্ড যদি ন্যাটোতে যোগদান করে তবে এটি জোটের জন্য দ্রুততম বৃদ্ধির মধ্যে একটি হবে। এছাড়া রাশিয়া এবং ফিনল্যান্ডের মধ্যে ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যদি ফিনল্যান্ড যোগ দেয় তবে এটি রাশিয়ার সঙ্গে জোটের সীমান্তের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করে দেবে।

৩। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, সেন্ট পিটার্সবার্গ, ফিনল্যান্ডের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোতে যোগদান করার কারণে পূর্ব ইউরোপের নিরাপত্তা মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন ও পুনর্নির্মাণ হবে।

advertisement

ফিনল্যান্ড ও সুইডেন দ্বারা পেশ করা শর্তাবলী

১। ন্যাটো কূটনীতিকরা বলছেন যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আবেদন প্রক্রিয়া প্রায় এক বছর সময় নিতে পারে। কারণ নতুন সদস্যদের অনুমোদনের জন্য সব মিলিয়ে ৩০টি ন্যাটো দেশের সংসদের সম্মতির প্রয়োজন। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন কিছু নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছে যে যতক্ষণ না তারা পূর্ণ সদস্য হচ্ছে ততক্ষন ন্যাটো সদস্য দেশগুলিকে তাদের রক্ষা করতে হবে।

advertisement

২। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ব্রিটেনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে। যদি কোনও আক্রমণ‌ হয় তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ব্রিটেন তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করবে।

ফিনল্যান্ড এবং ন্যাটোর মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক

১। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন হল ন্যাটোর নিকটতম অংশীদার। তারা জোটের অপারেশন এবং এয়ার পুলিশিংয়ে অবদান রাখে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান বাড়িয়েছিল এবং যুদ্ধের বিষয়ে হওয়া প্রতিটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিল।

advertisement

২। ফিনল্যান্ডের কথা অনুযায়ী, তারা ইতিমধ্যেই ন্যাটোর সকল ঘরোয়া উৎপাদনের ২ শতাংশের প্রতিরক্ষা ব্যয় নির্দেশিকাকে প্রভাবিত করেছে। সুইডেনও তার সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশা করছে। গত বছর ন্যাটোর গড় ১.৬ শতাংশ অনুমান করা হয়েছিল।

ফিনল্যান্ডকে পুতিনের সতর্কবার্তা

রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির (Vladimir Putin) পুতিন শনিবার তার ফিনিশ সমকক্ষ সাউলি নিনিস্তোকে বলেছেন নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করা এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়া 'ভুল হবে', যা তাদের দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাশিয়ার কিছু অংশে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণকে দায়ী করেছে। এছাড়া পুতিন তাদের 'সামরিক, প্রযুক্তিগত' প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক

ন্যাটোর বাইরে থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোর সঙ্গে ভালো সম্পর্কে রয়েছে। দুই দেশই ন্যাটো পরিচালিত ১৯৯৪ সালের ‘পার্টনারশিপ ফর পিস প্রোগ্রাম (Partnership for Peace programme)’ এবং ১৯৯৭ সালের ‘ইউরো-আটলান্টিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলে (Euro-Atlantic Partnership Council) যোগ দেয়। এই দুই দেশকে ন্যাটোর অন্যতম সক্রিয় পার্টনার হিসেবে ধরা হয়। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন বলকান, আফগানিস্তান এবং ইরাকের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিতে ন্যাটো পরিচালিত শান্তি বজায় রাখার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আরও পড়ুন Explained: গরমে পেটের গণ্ডগোল, কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন সেনা ন্যাটো সদস্য দেশগুলির সাথে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। দুই দেশের সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য এবং প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ডেরও ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained: NATO-তে কেন যোগ দিতে চায় ফিনল্যান্ড? পুতিনের সমস্যার কারণ কী?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল