TRENDING:

Personal Data Protection Bill: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল কী? বিরোধীদের আপত্তি কোন কোন জায়গায়? পড়ুন

Last Updated:

আশা করা হচ্ছে বিলটি ভারতের তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় ঘাটতি পূরণ করবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: যৌথ সংসদীয় কমিটি (Joint Parliamentary Committee) ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল (Personal Data Protection Bill) নিয়ে তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। তাতে সংসদীয় কমিটিই প্রায় দু'শোর বেশি সংশোধনীর সুপারিশ করেছে। সূত্রের খবর, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদের (Parliament) শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটির এই চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলে (Personal Data Protection Bill) তথ্যের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিদের অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যকে অনেক কিছুর চেয়ে বেশি মূল্যবান বলে মনে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে বিলটি (Personal Data Protection Bill) ভারতের তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় ঘাটতি পূরণ করবে। যদিও জেপিসি (JPC)-র সদস্যরা বিলের অধীনে সরকারি সংস্থাগুলির বিস্তৃত ছাড়ের বিষয়গুলি চিহ্নিত করেছেন। যা জানা দরকার, তা প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে।
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল কী? বিরোধীদের আপত্তি কোন কোন জায়গায়?
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল কী? বিরোধীদের আপত্তি কোন কোন জায়গায়?
advertisement

আরও পড়ুন: ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের উপর কি কাজ করবে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন? কবেই বা আসবে নতুন ভ্যাকসিন? কীভাবে পাবেন? জানুন...

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলে (Personal Data Protection Bill) কী রয়েছে?

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের মূল খসড়া (Original Draft) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে প্রথমবার পেশ করা হয়েছিল। বিলের উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Data) সম্পর্কিত ব্যক্তিদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য বিধি স্থাপন করা। তথ্যের প্রবাহ ও ব্যবহার নির্দিষ্ট করা। ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যক্তি এবং সংস্থার মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করা। বিলটি ব্যবহারকারীর অধিকার রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়। তার জন্য বিলে থাকা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল- ডেটা প্রক্রিয়াকরণে সাংগঠনিক এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা। যাতে সোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলিকে প্রতিকার করা যায়। বিলটি ব্যক্তিগত তথ্যকে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে বা সম্পর্কিত যে কোনও তথ্যকে সংজ্ঞায়িত করে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সনাক্তযোগ্য বা অন্য কোনও বৈশিষ্ট্যে রয়েছে, যার সঙ্গে যুক্ত, তা সে অনলাইনেই হোক বা অফলাইনে। বিলে ভারতে একটি ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Data Protection Authority of India) গঠনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল।

advertisement

আরও পড়ুন: মিউটেশন বিপজ্জনক! করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কে বিশেষজ্ঞরা

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের (Personal Data Protection Bill) বিধানগুলি কী কী?

এই বিলের পরিধি ব্যাপক। বিলটি সরকার এবং তার অধীনস্থ সংস্থা, ভারতীয় কম্পানি, ব্যক্তিগত নাগরিক বা ভারতীয় আইনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত বা কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি সংগঠনের ব্যক্তিগত তথ্যের প্রক্রিয়াকরণকে কভার করে। এটি বিস্তৃতভাবে বিদেশ ভিত্তিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও কার্যকর, যারা ভারতে তথ্য সংক্রান্ত আদান-প্রদান কাজে লিপ্ত। বিলের অধীনে তথ্যের মালিককে 'ডেটা প্রিন্সিপাল' (Data Principals) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যখন কোম্পানি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের তথ্য সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াকরণ করে, তাদের 'ডেটা ফিডাসিয়ারি' (Data Fiduciary) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এটি 'ডেটা প্রসেসর' (Data Processor) হিসাবে যে কোনও ব্যক্তি বা সত্বাকে চিহ্নিত করে যে 'ডেটা বিশ্বস্ততা'-র পক্ষে ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন৷

advertisement

বিলের অধীনে ডেটা ফিডাসিয়ারি-কে তথ্যের বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যা স্বচ্ছতার উপর ফোকাস রেখে নির্দিষ্ট এবং আইনসম্মত উদ্দেশ্যে প্রসেস করা হয়। ডেটা সংগ্রহকারীকে পর্যাপ্ত তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন এবং অন্যান্য জিনিসগুলির মধ্যে ব্যবহারকারীদের দ্বারা জমা দেওয়া অভিযোগগুলি গ্রহণ এবং সমাধানের জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

advertisement

বিলটি ব্যক্তিদের তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে কনফার্মেশন চাইতে এবং ভুল, অসম্পূর্ণ বা পুরনো ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার ক্ষমতা দেয়৷ এটি আরও উল্লেখ করে যে একটি সার্ভিস প্রোভাইডার তথ্যের মালিকের আর কোনও তথ্য নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবহার করতে পারবে না, যদি এটি যে উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল তা পূরণ করা না হয়। বিলে শর্তাবলী লঙ্ঘনের জন্য মোটা জরিমানার কথাও বলা হয়েছে- ১৫ কোটি টাকা বা একটি কোম্পানির বিশ্বব্যাপী টার্নওভারের ৪ শতাংশ, যেটি বেশি হবে। তবে, বিলে তথ্য সংগ্রহ এবং তার ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার এবং অধীনস্থ সংস্থাগুলিকে বিস্তৃত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন যৌথ সংসদীয় কমিটিতে থাকা বিরোধী দলের সদস্যরা।

advertisement

বিরোধী সাংসদদের দ্বারা তোলা আপত্তিগুলি কী কী?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দু’বছর ধরে কমিটির আলোচনার পরে যে রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে, তাতে সংসদীয় কমিটিই প্রায় ২০০-র বেশি সংশোধনীর সুপারিশ করেছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh), মনীশ তিওয়ারি (Manish Tewari), তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O’Brien) সহ সাতজন বিরোধী সদস্য সরকারি সংস্থাগুলিকে প্রদত্ত ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে বিলে সরকারি সংস্থাগুলিকে ছাড় দিলে যে কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তার (Right to Privacy) অধিকার লঙ্ঘন হবে, যা সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি মৌলিক অধিকার বলেছে।

বিলের দু'টি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, যা উদ্বেগজনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই দু'টি হল বিলের ১২ (এ) ও ৩৫ ধারা, যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ৩৫ ধারায় বলা হয়েছে যদি মনে করা হয় যে কোনও নাগরিক সম্পর্কিত তথ্য দেশের কোনও আইন বিরোধী, তা হলে আইনের স্বার্থ রক্ষায় বা অনুসন্ধানের প্রয়োজনে এই অধিকার (গোপনীয়তার অধিকার) সেই নাগরিক বা সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ভিন্নমত পোষণকারী সাংসদরা উল্লেখ করেছেন যে এই ধারাটি সরকারকে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করার জন্য বিস্তৃত ক্ষমতা দেবে। নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বিলের ১২(এ) ধারা অনুযাী, কারও সম্মতি ছাড়াই যে সরকার কোনও তথ্য জানতে পারে, এটাও নিয়েও আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা। ভিন্নমত পোষণকারী সাংসদরা বলছেন যে ব্যক্তির সম্মতি ব্যতীত রাষ্ট্র যে পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, তা বিলে উল্লেখ করা উচিত। এটাও উল্লেখ করা উচিত যে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার সমানুপাতিক।

রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে যৌথ সংসদীয় কমিটি এত সময় নিল কেন ?

২০১৭-য় সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। মামলায় রায় দেওয়ার সময় তারা কেন্দ্রকে একটি শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা আইন আনার নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরেই সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্ন ওঠে। পরে কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি বিএন শ্রীকৃষ্ণের (BN Srikrishna) অধীনে ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের প্রস্তাব করেছিল। সেই অনুযায়ীই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলের খসড়া তৈরি হয়। তথ্য সুরক্ষায় বিশেষ নজরদারি সংস্থা তৈরির কথা বলা হয় বিলে।

কমিটির দ্বারা তৈরি খসড়াটি সংসদে উত্থাপন করার আগে জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য রাখা হয়েছিল। সংসদে আপত্তি ওঠার পর বিলটকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিল নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। যদিও চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে মীনাক্ষী লেখির (Meenakshi Lekhi) নেতৃত্বাধীন যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। শেষবার এই বছরের জুলাই মাসে মেয়াদ বাড়ানো হয়।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Personal Data Protection Bill: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল কী? বিরোধীদের আপত্তি কোন কোন জায়গায়? পড়ুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল