NaMo-র জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ বারানসীর কাশীতে ভারত মাতা মন্দিরে ৭১ হাজার মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে। যেহেতু ৭১ তম জন্মবার্ষিকী তাই ৭১ হাজার প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ১৪ কোটি রেশন ব্যাগ বিতরণ করা হবে BJP-র তরফে। ওই ব্যাগে ধন্যবাদ মোদিজি (Thank You Modiji) লেখা থাকবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্রায ৫ কোটি পোস্ট কার্ড দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিস থেকে পাঠানো হবে। এর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রক্তদান শিবির, রেশন কার্ড বিলি, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সহ একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। মোট ২০ দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের পরেই টি টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা বিরাট কোহলির !
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২০ দিন ব্যাপী যে আয়োজন করা হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে সেবা এবং সমর্পণ অভিযান (Seva aur Samarpan Abhiyan)। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই ২৭ হাজার বুথে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বুথে পালিত হবে ওই কর্মসূচি।
কয়েকদিন আগে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের বিভিন্ন মুহূর্ত নমো অ্যাপের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ৭১টি জায়গার গঙ্গা নদী ঘাট পরিচ্ছন্ন করা হবে। জানা গেছে, কুইজ প্রতিযোগিতা হবে এবং জলপ্রতিনিধিদেরও বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
আজ সারাদেশ ব্যাপী সবথেকে বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে নিজেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। গতকাল, বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আগামিকাল আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। সেই #VaccineDay পালন করা হবে। প্রত্যেকে যেন তাঁর প্রিয়জনের ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের তরফ থেকে দেওয়া সবথেকে বড় উপহার।”
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মোদির জন্মদিন পালন করে আসছে BJP। এবং দিনটি তারা সেবা দিবস হিসেবে পালন করছে তারা। অন্যবার সর্বাধিক সাত দিন ব্যাপী জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা হলেও এবছর ২০ দিন ধরে পালন করা হবে ওই অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে জে পি নাড্ডার তরফে দলের নেতা ও কর্মীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আজ থেকে আগামী ২০ দিন কী কী কর্মসূচি পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকার পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! পেনশন সমস্যার ইতি?
সুবক্তা হিসেবেও পরিচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলায় এসে নিজের ভাষণ রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে সোশাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় মোদি। লকডাউনের শুরু থেকে তাঁর দেওয়া একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁর বেশ কিছু বক্তব্যও বেশ জনপ্রিয়। একনজরে দেখে নিন প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি উক্তি-
কোনও গাণিতিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার অর্থ এটা নয় যে শিশুরা শুধু গাণিতিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটাও এক ধরণের ভাবনা।
-আমি প্রতিটি বাবা মায়ের কাছে অনুরোধ করব কোনও প্রাপ্তি যেন তাঁদের সন্তানের কাছে খ্যাতির বিষয় হিসেবে তুলে না ধরেন। প্রতিটি শিশুর মধ্যে একটি অনন্য প্রতিভা রয়েছে।
-কঠোর পরিশ্রম কখনও ক্লান্তি নিয়ে আসে না। কঠোর পরিশ্রম বরং শান্তি নিয়ে আসে।
-মহাত্মা গান্ধি কখনও পরিচ্ছনতার সঙ্গে আপোষ করেননি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমরা তাঁকে স্বচ্ছ ভারত উপহার দেব।
-একজন গরিব পিতার এক সন্তান তোমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের ক্ষমতা।
-যদি ১২৫ কোটি মানুষ একসঙ্গে কাজ করে তাহলে ভারত ১২৫ কোটি পদক্ষেপ এগিয়ে যাবে।
-এটা কোনও সময়ই একটি মানুষের বিষয় ছিল না। এটা একটা জাতির বিষয় ছিল।
-ইউথ অফ ইন্ডিয়া- শুধুমাত্র নতুই বয়সের ভোটার নয়, নতুন বয়সের ক্ষমতা