১) প্রশ্ন- Coronavirus বুস্টার ডোজের (Booster Dose) প্রয়োজনীয়তা কতটা?
উত্তর- দেশে এখনই বুস্টার ডোজের (COVID19 Booster Shot, India) প্রয়োজন নেই৷ কারণ ভারতে এখনও দুটি করে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছেন মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ৷ তাই প্রথম লক্ষ্য হল দু’টো করে ডোজ দেওয়া৷ যখন দেশের অন্তত ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষ দুটি করে টিকা (Coronavirus Vaccination, India) পেয়ে যাবেন, তখন বুস্টার ডোজের ভাবনা চিন্তা শুরু করা যেতে পারে৷
advertisement
২) প্রশ্ন- ডবল ডোজ ভ্যাকসিনের (COVID19 Vaccination) পরও কি এটা নেওয়া যেতে পারে?
উত্তর- বিশ্বের অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ, দু’টি করে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর৷ এক একটি দেশের এক একরকম নীতি রয়েছে৷ ইজরায়েলে যেমন ৬৫ বছরের উপরে যাদের কোমর্বিডিটি (Comorbidity) রয়েছে, তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷ লন্ডনে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে বুস্টার, কারণ তাঁরা বেশি মাত্রায় ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিদিন ৷ আবার আমেরিকায় ৬৫ বছরের উপর যাদের কমির্বিডিটি, অর্থাৎ যাদের হাইরিস্ক, তারাই পাচ্ছেন বুস্টার ডোজ৷
৩) প্রশ্ন- বিদেশের অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে এই বুস্টার ডোজ, দেশে এখনও যদিও সেটা দেখা যাচ্ছে না৷ প্রথম টিকাকরণের কতদিনের মাথায় নিতে হবে বুস্টার?
উত্তর- বিদেশে শুরু হয়েছে ঠিকই, তবে দুটি করোনাভ্যাসিনের ডোজ (Coronavirus Double Vaccine) দেওয়া থাকলে করোনার বাড়বাড়ন্ত অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব৷ অর্থাৎ আইসিইউ(ICU) বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন কম পড়ে৷ সেক্ষেত্রে যদি বুস্টার ডোজ শুরুও হয়, তাহলে সেটা হবে তাদের জন্যই, যাদের ঝুঁকি বেশি (Risk)৷
গবেষণায় (COVID19 Research) দেখা দিয়েছে ৬-৮ মাস পর্যন্ত শরীরে থাকছে অ্যান্টিবডি (Antibody)৷ তাহলে তার পর বুস্টার শুরু করা যেতে পারে৷ আমেরিকায় যদিও ৫ মাসের মধ্যে করোনার বুস্টার চালু হয়েছে৷ এদেশেও কোভ্যাক্সিনের বুস্টার (Covaxin booster) ডোজ নিয়ে গবেষণা চলছে৷ এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হলে জানা যাবে কবে বুস্টার ডোজ নেওয়া যেতে পারে এদেশে৷ আমার ধারনা, পূর্ণাঙ্গ টিকাকরণের ৬-৮ মাস পর চালু করা যেতে পারে করোনার বুস্টার৷
৪) প্রশ্ন- বিষয়টা কি খানিকটা অন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মতো হতে চলেছে? বছর বা ৬ মাসে একবার করে?
উত্তর- একদম৷ ইনফ্লুয়েঞ্জা বুস্টার (Influenza Booster) প্রতিবছর দিতে হয়৷ করোনাও একই প্রজাতির রোগ৷ বারবার চরিত্র বদল করছে৷ আমার ধারণা, বুস্টার শুরু করলে প্রতি বছর একটা করে নিতে হবে৷
৫) প্রশ্ন- এক্ষেত্রে কি অন্য কোনও নিয়ম থাকবে?
উত্তর- নিয়ম অন্য হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ একটা নির্ধারিত সময় নিতে হবে এই বুস্টার৷ বছরের একটি সময় ঠিক করতে হবে৷ হয়ত শীতের আগে করতে হবে৷
৬) প্রশ্ন- শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে কি বুস্টার ডোজ নিতে হবে?
উত্তর- শরীরের অ্যান্টিবডি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে সেটাই একমাত্র মাপকাঠি হয় না৷ কারণ মেমারি সেল (Memory Cell) বলে এক ধরনের সেল থাকে আমাদের শরীরে তৈরি হয় যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে৷ কোনও রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে, মেমারি সেল সেটা মনে রাখে৷ আবার যদি একই রোগ শরীরে আক্রমণ করে, তাহলে প্রতিরোধ করার কোষগুলো ফের তৈরি করে দেয় এই মেমরি সেল৷ ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি মেপে বা দেখে নিয়ে বুস্টার দেওয়া হয় না৷ এটা সময়ের উপর নির্ভর করে, শরীরের অ্যান্টিবডির উপর নয়৷ করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটা একই পদ্ধতি হওয়া উচিৎ৷