TRENDING:

Explainer| Viral Fever: করোনাকালে, ভাইরাল ফিভারে কাবু? তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার টিসপ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Last Updated:

শুধু ছোটারা নয়, এই ভাইরাল ফিভারে (Viral Fever in Adults) আক্রান্ত হচ্ছেন বড়রাও৷ যার জেরে হচ্ছে মারাত্মক দুর্বলতা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঘনঘন বৃষ্টি, সঙ্গে আবহাওয়ার আমুল পরিবর্তন৷ প্যাচপ্যাচে একটি পরিবেশ চারিদিকে৷ তার মধ্যেই বাড়ির বাইরে পা রাখলে বৃষ্টিতে ভেজা প্রায় নিশ্চিত৷ নচেৎ জমা জলে পা রাখতেই হবে৷ সব মিলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা৷ যার থেকে জ্বরজালার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে৷ একে করোনার প্রকোপ, তার মধ্যে জ্বরে পড়লে সমস্যা দ্বিগুণ বাড়বে৷ একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাইরাল ফিভার (Viral Fever)৷ শুধু ছোটারা নয়, এতে আক্রান্ত হচ্ছেন বড়রাও (Viral Fever in Adults)৷ যার জেরে হচ্ছে মারাত্মক দুর্বলতা৷ এই ভাইরাল ফিভার এড়িয়ে যাওয়ার কোনও পথ কী আদৌ রয়েছে? বা হলেও কী করতে হবে? কীভাবে ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে করোনার তফাৎ করবেন? উত্তর জেনে নিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞা ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়ের (Dr. Suddhasatwya Chatterjee) থেকে৷
Viral Fever in Adults
Viral Fever in Adults
advertisement

১)প্রশ্ন- ভাইরাল ফিভার হওয়ার প্রধান কারণ কী?

উত্তর- ভাইরাস দুধরণের ডিএনএ ভাইরাস, আরএনএ ভাইরাস ৷ আরএনএ ভাইরাস জ্বলীয় বাষ্পপূর্ণ আবহাওয়ায় খুব অনায়াসে হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে পারে৷ ভেসে বেড়ানোর সময় তার শরীরের কোনও প্রাণের অস্তিত্ব থাকে না৷ তবে মানুষের শরীরে বিশেষ করে শ্বাস প্রশ্বাসের যে স্থানগুলি রয়েছে, নক-গলা ফুসফুস এতে ঢুকে দ্রুত বংশবিস্তার করে এই ভাইরাস৷ তখনই শরীরে একধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় যা থেকে প্রথম জ্বর আসে (Fever)৷ যা ভাইরাল ফিভার৷

advertisement

২)প্রশ্ন- বৃষ্টিতে ভিজলেও কি এরম জ্বর হতে পারে? যদি হয়, তাহলে বৃষ্টিতে ভেজার পর কী করতে হবে?

উত্তর- বৃষ্টিতে ভিজলে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রার তারতম্য তৈরি হয়৷ এতে শরীরে ইমিউনিটি কমে যায়৷ এটা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের জন্য আদর্শ৷ ফলে ইনফেকশন (Infection) বা ঠান্ডা গেলে যেতে পারে তাড়াতাড়ি৷ বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরে গরম জলে স্নান করা বা গা মুছে নিতে পারলে ভাল৷ গরম চা-কফি বা দুধ খেলে উপকার হবে৷

advertisement

৩)প্রশ্ন- টেস্ট না করিয়ে, সাধারণভাবে কি বোঝা সম্ভব যে এই জ্বরের সঙ্গে করোনার কোনও সম্পর্ক নেই?

উত্তর- করোনা এবং সাধারণ জ্বরের উপসর্গ (Symptoms of Viral Fever) একই রকম, জ্বর-গা-হাত ব্যথা, দুর্বলতা৷ তবে করোনায় এর সঙ্গে দু-তিনটে বাড়তি উপসর্গ রয়েছে যা অন্য ক্ষেত্রে থাকে না৷ করোনায় স্বাদ-গন্ধ চলে যায়, দ্রুত শ্বাস কষ্ট হওয়ার সম্ভবনাও থাকে৷ তবে এগুলি জ্বরের দু-তিনদিনের মধ্যে হয়৷ তখন তো করোনা টেস্ট (test) করতেই হবে৷ অন্যদিকে সাধারণ জ্বরও যদি দু-তিন দিন হয়ে যায়, তাহলেও করোনা টেস্ট করা বাধ্যতামূলক৷

advertisement

আরও পড়ুন Explainer| World Alzheimer's Day: কীভাবে বাসা বাঁধে এই দুরুহ ব্যাধি? মুক্তির পথ কী? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

৪)প্রশ্ন- অধিকাংশ সময় দেখা যায় বাড়ির একজনের ভাইরাল ফিভার হলে অন্যদেরও হয়৷ খুবই ছোঁয়াচে এই জ্বর৷ কী করলে অন্যদের নাও হতে পারে?

উত্তর- বায়ু বাহিত হয় এই জ্বর, তাই একজনের হলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি৷ উপসর্গের আগের ভাব বা ইনকিউবেশন পিরিয়ডে (Incubation period) ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করে৷ সেই সময় কোনও উপসর্গ থাকে না৷ তখনই ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ৷ একমাত্র উপায় বাড়িতে মাস্ক পরে থাকা বা দূরত্ব বজায় রাখা৷ তবে অভাবে আটকানো খুব মুশকিল৷ তবে চেষ্টা করা যেতে পারে৷

advertisement

৫)প্রশ্ন- জ্বর হলেই কি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে?

উত্তর- ১৫থেকে ৬০ বছর বসয়ি, যাদের অন্য অসুখ যেমন সুগার, প্রেশার, থায়রয়েড নেই, তারা তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন৷ তারপর পরিস্থিতি বুঝে ডাক্তারের (Contact Doctor in Viral fever) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷ তবে যারা ৫ বছরের নিচে বা ৬০ বছরের বেশি, তাদের জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ শুরু করে দিতে হবে৷

৬)প্রশ্ন- ভাইরাল ফিভারের মূল উপসর্গ কী?

উত্তর- শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত এই অসুখের মূল উপসর্গ সর্দি-কাশি-জ্বর, গলা ব্যথা,গা-হাত-পা ব্যথা৷ ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া মত অসুখে শরীরে ব্যথা হয়, এতে সর্দা-কাশি হয় না৷ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভাইরাল ফিভারে ডায়রিয়া, বমি ভাবও লক্ষ্য করা যায়৷

৭)প্রশ্ন- ঘরোয়া কোনও টোটকা রয়েছে এর থেকে মুক্তি পেতে?

উত্তর- হাঁচি-কাশি হলে শরীরে অস্বস্তি (Home remedy for Viral Fever) কাজ করে৷ ফলে মুখে গোলমরিচ-আদা রাখলে ভাল লাগবে৷ নাকে নরমাল স্যালাইন ড্রপ, স্টিম ভেপার, গার্গেল করলে ভাইরাল লোড কমে যায়৷ শরীরে আরাম হয়, রোগ ছড়ানোর প্রবণতাও কমে৷

৮)প্রশ্ন- চিকিৎসা কীভাবে?

উত্তর- অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগস দিয়ে চিকিৎসা (Viral Fever Treatment) হয়৷ সাধারণত সর্দি-কাশি-জ্বরের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় না৷ ইনফ্লুএঞ্জার ক্ষেত্রে ট্যামি ফ্লু নামক ওষুধ ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়া সাধারণ অ্যান্টি অ্যালার্জি দিয়ে চিকিৎসা হয়৷ জ্বরের ক্ষেত্রে প্যারাসিটমল, গার্গেলের জন্য কিছু মাউথ ওয়াশ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বিও ব্যবহার করা হয় ৷ তবে এই সব ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা উচিৎ৷

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explainer| Viral Fever: করোনাকালে, ভাইরাল ফিভারে কাবু? তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার টিসপ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল