TRENDING:

EXPLAINED | Dengue Reinfection: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কি থাকে? জানুন ও সতর্ক হোন

Last Updated:

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও একজন ব্যক্তি একাধিকবার ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। (EXPLAINED | Dengue Reinfection)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ডেঙ্গু (Dengue) সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বহু লোক প্রতি দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কাউকে কাউকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সমস্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য বারে বারে বলছেন (EXPLAINED | Dengue Reinfection)। কিন্তু ডেঙ্গুর ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও নিরাপদ এবং কার্যকরী টিকা এখনও নেই। তা ছাড়া যেটা আরও খারাপ করে তোলে তা হল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও একজন ব্যক্তি একাধিকবার ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে (EXPLAINED | Dengue Reinfection)। ডেঙ্গু ফ্ল্যাভিভিরিডে (Flaviviridae) পরিবারের একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়।
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কি থাকে? জানুন ও সতর্ক হোন
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কি থাকে? জানুন ও সতর্ক হোন
advertisement

চারটি ভাইরাস রয়েছে যেগুলি সেরোটাইপস জাতীয়। সেগুলি হল ডিইএনভি ১ (DEN-1), ডিইএনভি ২ (DEN-2), ডিইএনভি ৩ (DEN-3) এবং ডিইএনভি ৪ (DEN-4)। এই ভাইরাসগুলিই প্রধানত ডেঙ্গুর জন্য দায়ী। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপে সংক্রমণ হলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। কিন্তু অন্য সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে (EXPLAINED | Dengue Reinfection)। এর মানে হল যে ডেঙ্গু একজন ব্যক্তিকে চারবার আক্রান্ত করতে পারে। যদিও একবার একটি স্ট্রেনে সংক্রমিত হলে সাধারণত সেই স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনাক্রম্যতা অর্থাৎ ইমিউনিটি তৈরি হয়। তবুও বাকি তিনটি স্ট্রেইনে সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। তাই নিরাপদ থাকার জন্য আমরা কী করতে পারি, তা আমরা এই প্রতিবেদনে জানব।

advertisement

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে নাকে দেওয়া স্প্রে-ই কি কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করবে? জানুন বিশদে

ডেঙ্গু জ্বর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন?

প্রায় সব অসুস্থতার ক্ষেত্রে জ্বর প্রথম উপসর্গ হতে পারে, যা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ডেঙ্গু এবং একটি সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণের কারণে জ্বর আসতে পারে। সাম্প্রতিক অতীতে ডেঙ্গুর ঘটনা বেড়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সনাক্ত করা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই ডেঙ্গু দ্বারা সৃষ্ট জ্বর এবং ভাইরাল জ্বরের মধ্যে পার্থক্য করতে জানতে হবে। যদিও ভাইরাসজনিত জ্বর বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, সংক্রমিত ব্যক্তির ড্রপলেটের মাধ্যমে এই আরও ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু জ্বর হল মশার কামড়ের (এডিস ইজিপ্টি) ফলাফল। একটি ভাইরাল জ্বর ৩-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে, যেখানে ডেঙ্গু জ্বর ২-৭ দিন স্থায়ী হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে তা বাড়তে পারে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এই বছর, মশাবাহিত রোগে সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, আর এ সবই হচ্ছে ডেঙ্গু ভাইরাসের নতুন ডি-২ স্ট্রেনের (D2 Strain) কারণে। যা ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপের মধ্যে একটি। বাকিগুলি হল- ডিইএনভি ১ (DENV-1), ডিইএনভি ৩ (DENV-3) ও ডিইএনভি ৪ (DENV-4)। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে নতুন এই ডি-২ স্ট্রেন জ্বর, বমি, জয়েন্টে ব্যথা ও গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে। যার ফলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর এবং ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হতে পারে।

advertisement

সংশ্লিষ্ট উপসর্গ থেকে সাবধানতা:

ডেঙ্গু ভাইরাসের শরীরে প্রভাব ফেলতে প্রায় ৪-১০ দিন সময় লাগে। যাই হোক, বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পরে যে কোনও নির্দিষ্ট সময়ে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। হালকা ডেঙ্গু সংক্রমণ হলে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, পেশি বা জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং ফুসকুড়ি হতে পারে। যখন সংক্রমণটি গুরুতর আকার নেয়, তখন শ্বাসকষ্ট, ত্বকের উপরিভাগের নিচে রক্ত পড়া, রক্ত জমাট বাঁধা, পেটে ব্যথা, রক্তের প্লেটলেট কমে যাওয়া, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: দাপট বাড়ছে মশার, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া-চিকুনগুনিয়ার পার্থক্য এবং প্রতিরোধ জেনে সতর্কতা নিন!

কত ঘন ঘন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন একজন ব্যক্তি?

পুনঃসংক্রমণ হল যখন একজন ব্যক্তি দু'বার বা একাধিকবার অসুস্থতায় আক্রান্ত হন। এটি একাধিকবার সংক্রামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা। এই পরিভাষাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কোভিডের (Covid-19) ক্ষেত্রে। কারণ, একবার সেরে ওঠার পরেও একজন কোভিডে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে পারে, সেটা টিকা নিলেও। ডেঙ্গুর পরিপ্রেক্ষিতে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে একজন ব্যক্তি একাধিকবার সংক্রমিত হতে পারে। এক্ষেত্রে বয়স, জীবনযাত্রা ইত্যাদি প্রভাব ফেলে না। একজন ব্যক্তি জীবনে চারবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।

advertisement

কেন ডেঙ্গু পুনঃসংক্রমণের (Dengue Reinfection) সম্ভাবনা থেকে যায়?

কোভিডের পুনঃসংক্রমণের হার কম বলে মনে করা হয়। তবে তার ঠিক বিপরীত হল ডেঙ্গু ভাইরাস। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ আছে, যদি একজন ব্যক্তি এক ধরনের ডেঙ্গু স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়, তা থেকে সেরে ওঠে, তাহলে সে শুধুমাত্র একটি স্বতন্ত্র সেরোটাইপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর মানে হল যে ব্যক্তিটি অন্য তিনটি স্ট্রেনের জন্য অরক্ষিত এবং যে কোনও সময় আবার সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রতিটি সেরোটাইপে বিভিন্ন সাবস্ট্রেন রয়েছে, যা বিভিন্ন যৌগ বহন করে, যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারে বা শরীরকে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধা দিতে পারে। এই বছর, ডেঙ্গুর D2 স্ট্রেন মারাত্মক আকার নিয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান।

ডেঙ্গু পুনঃসংক্রমণ কি বেশি মারাত্মক?

ডেঙ্গু জ্বর একজন ব্যক্তির শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। জয়েন্ট এবং পেশিতে এর প্রভাবের কারণে প্রচণ্ড ক্লান্তির কারণ হতে পারে, জ্বর আসতে পারে। এছাড়াও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়াকে ব্যাহত করতে পারে। পুনরায় সংক্রমণ আরও গুরুতর এবং মারাত্মক হতে পারে। বর্তমানে, ডি ২ স্ট্রেনের কারণে পুনরায় সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে এবং আগের চেয়ে আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। যারা আগে ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়েছিল, তাদের ডি ২ স্ট্রেনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ডি-২ স্ট্রেন ডেঙ্গু-শক সিনড্রোম বা ডেঙ্গু-হেমোরেজিক জ্বর (Dengue Hemorrhagic Fever) সৃষ্টি করে, যা গুরুতর ডেঙ্গুর সঙ্গে সম্পর্কিত উপসর্গ। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যারা পুনরায় সংক্রমিত হয়েছে, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা আর জ্বালা-জ্বালা ভাব! হার্ট অ্যাটাক না হার্টবার্ন, বোঝা যাবে কী ভাবে?

সতর্কতাই সুরক্ষিত থাকার পথ:

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
৪০ ফুটের কালী! পুজোয় মেগা আয়োজন, এখন থেকেই 'এই' মণ্ডপে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়
আরও দেখুন

যেহেতু একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির অনুসন্ধান এখনও চলছে, তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনে চলা সর্বোত্তম উপায়। এটি মনে রাখা উচিত যে ডেঙ্গু একটি সংক্রমণ হিসাবে রয়ে গিয়েছে যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো যায়। দরজা, জানালার পর্দা, প্রতিষেধক, কীটনাশক সামগ্রী, কয়েলের ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের সংস্পর্শে যাতে মশা কম আসতে পারে এমন পোশাক অবশ্যই পরতে হবে। প্রাদুর্ভাবের সময় স্প্রে হিসাবে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। মশা ডিম পাড়তে পারে এমন জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। খোলা পাত্রে জল জমতে দিলে হবে না। এজন্য নিয়মিত নজরদারি করতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED | Dengue Reinfection: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কি থাকে? জানুন ও সতর্ক হোন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল