TRENDING:

EXPLAINED : এখনও আক্রান্ত হননি যাঁরা, তাঁরাই নেবেন করোনা প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা? কিন্তু কীভাবে?

Last Updated:

Explained: বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এই বিরল ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন, যারা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসকে ফাঁকি দিতে পেরেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: অতিমারীর আবহেও কিছু লোক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। তা এই অতিমারীার সবচেয়ে বড় রহস্যের মধ্যে একটি। যখন দেশের প্রতি ষষ্ঠ ব্যক্তি করোনভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল, তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লোকদের কাছাকাছি থাকলেও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পেরেছিল। এই ব্যক্তিরা মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে অজেয় ছিল। তবে এর অর্থ এটা নয় যে তারা সংক্রমণকে হালকা ভাবে নেবে। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এই বিরল ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন, যারা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসকে ফাঁকি দিতে পেরেছে। নিউ ইয়র্কের রকফেলার ইউনিভার্সিটির একজন ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং ফেলো আন্দ্রেস স্পান বলেছেন, একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা ইতিমধ্যে ৭০০ জন অংশগ্রহণকারীকে তালিকাভুক্ত করেছে এবং ৫ হাজারেরও বেশি লোকের স্ক্রিনিং করছে, যারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য প্রতিরোধী।
Coronavirus
Coronavirus
advertisement

সতর্কতা, পরিস্থিতি এবং ভাগ্যই কি ভূমিকা নিয়েছে?

সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ার বব ওয়াচটার বলেছেন যে এটি সতর্কতা, পরিস্থিতি এবং ভাগ্যের সংমিশ্রণ হতে পারে। যারা সর্বদা মাস্ক পরে, টিকা নিয়েছে এবং বুস্টার ডোজ সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকে, ঘন ঘন পরীক্ষা করে এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জমায়েত এড়িয়ে যায়, তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংক্রমণের হার বা বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য কিছু ব্যক্তি অন্যদের থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে।

advertisement

শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমও কি দায়ী?

কিছু মানুষ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত জয়ী হয়। কারণ তাদের শরীরে আগে থেকেই বিদ্যমান অ্যান্টিবডি এবং মেমোরি ইমিউন কোষ রয়েছে, যা ভাইরাসকে চিনতে পারে। আবার কিছু মানুষ ভাগ্যের কারণে সংক্রমিত হয়নি। মাস্কের ব্যবহার ছাড়া 'হাইপার এক্সপোজড' হওয়া সত্ত্বেও কিছু লোক সংক্রমিত হয়নি। একটি অনুমান এমনও হতে পারে যে কিছু ব্যক্তির নাক, গলা এবং ফুসফুসে ভাইরাসের সঙ্গে আবদ্ধ হওয়ার জন্য কম রিসেপ্টর থাকে। অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলি হতে পারে আগে একই ভাইরাসের এক্সপোজার বা করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আরও উপযুক্ত একটি ইমিউন সিস্টেম নিয়ে জন্মগ্রহণ করা।

advertisement

এরা কীভাবে সাহায্য করবে?

বিশেষজ্ঞরা আশা করেন যে যারা সংক্রমণ এড়াতে পেরেছে তারা অন্যদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। যারা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসা করতেও সাহায্য করতে পারে এবং আরও ভালো ওষুধ এবং আরও উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারে।

অন্যদের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কীভাবে কাজে আসবে?

রকফেলার ইউনিভার্সিটির পেডিয়াট্রিক ইমিউনোলজিস্ট জিন-লরেন্ট ক্যাসানোভা বলেছেন, "একটি প্রতিরোধী জিন সনাক্ত করা জৈবিক প্রভাবগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কোভিডের প্যাথোজেনেসিসে সাহায্য করবে।

advertisement

আরও পড়ুন- আজ তিনি কিং খান! কিন্তু এক সময়ে অমিতাভের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল শাহরুখকে

জেনেটিক রেজিস্ট্যান্সও কি এর কারণ হতে পারে?

কিছু লোকের করোনাভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার আরেকটি কারণ তাদের জিন হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে কিছু লোকের মধ্যে SARS-CoV-2-এর জিনগত প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা তাদের সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করতে পারে। যদিও এটি বিরল ক্ষেত্রে ঘটে, তবে এটি সম্ভব। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জিনগুলি ACE2 রিসেপ্টরের মধ্যে পার্থক্য রাখতে পারে যার উপর ভাইরাসটি মানুষের কোষে প্রবেশের জন্য আটকে থাকে। আরেকটি কারণ হতে পারে একটি শক্তিশালী ইমিউন রেসপন্স সিস্টেম , যা ভাইরাসকে ফুসফুসে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে বাধা দেয়। বিজ্ঞানীরা এখনও বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করছেন।

advertisement

সংক্রমণকে কি হালকা ভাবে নেওয়া উচিত?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লন্ডন এবার পুরুলিয়ায়! ১-২ রকম নয় পাওয়া যাচ্ছে ২৫ রকমের কেক-পেস্ট্রি
আরও দেখুন

কেউ যদি কোনও ভাবে ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত না হয়, তার মানে হয় তার মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি বা সে রোগ প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু আসল কারণটা বোঝা জরুরি। সুতরাং, সংক্রামক ভাইরাসে আক্রান্ত হোক বা না হোক, নিজেকে কখনই অজেয় ভাবা যাবে না। করোনাভাইরাস পরিবর্তিত হচ্ছে এবং পরবর্তী মিউট্যান্ট ভাইরাস আমাদের শরীরকে কীভাবে প্রভাবিত করবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। প্রত্যেককে অবশ্যই টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরা সকলেই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার জন্য সমান সংক্রমণ প্রবণ। বিশেষজ্ঞদের মত, দেশের প্রত্যেকটি এলাকাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। পাশাপাশি গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টিকে অতি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। সে লক্ষ্যে দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরি কাঠামোর ওপর অবশ্যই নজর দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ চিকিৎসাব্যবস্থা চালু এবং হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত বেড সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED : এখনও আক্রান্ত হননি যাঁরা, তাঁরাই নেবেন করোনা প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা? কিন্তু কীভাবে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল