TRENDING:

EXPLAINED: অনলাইনে কনটেন্ট আপলোড করছেন? অনেক টাকার মালিক হতে পারেন আপনি!

Last Updated:

Digital Assets: আপনি যে ধরনের মিম তৈরি করছেন সেগুলি থেকে আপনি পয়সা উপার্জন করতে পারবেন?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: সাম্প্রতিক সময়ে একটা বিষয় নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে ডিজিটাল মিডিয়ায়। তা হলো মিম। যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোক বা অন্য কোনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম- মিম চোখে পড়ে সর্বত্র। মাইক্রোব্লগিং সাইট Twitter-এ প্রথম ট্যুইট করেছিলেন সংস্থার কর্নধার জ্যাক ডরসে (Jack Dorsey)। সেই ট্যুইটটি পরবর্তী সময়ে নিলাম হয়। যার দর ওঠে ৩ মার্কিন ডলারে। অন্য দিকে আরও একজন ডিজিটাল আর্টিস্টের নাম বিপল। যিনি ডিজিটাল পেন্টিংয়ের জগতে খ্যাতনামা। তাঁর একটি ডিজিটাল পেন্টিং বিক্রি হয়েছিল ৬৯.৩ মার্কিন ডলারে। বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যম অন্যতম প্রধান একটি মাধ্যম হিসেবে উঠে এসেছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট প্রকাশ এবং তা নিয়ে মত বিনিময় হচ্ছে। ডিজিটাল অ্যাসেট হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে নন-ফাঞ্জেবল টোকেন বা NFT। যা কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাহলে কি আপনি যে ধরনের মিম তৈরি করছেন সেগুলি থেকে আপনি পয়সা উপার্জন করতে পারবেন? জেনে নিন…
advertisement

ডিজিটাল অ্যাসেট কী?

আপনার কি মনে আছে আপনি শেষ কবে মিউজিক সিডি কিনেছিলেন অথবা কোনও ফিল্ম থেকে ছবি প্রিন্ট করার জন্য কোনও স্টুডিওতে গিয়েছিলেন? হয় তো মনে নেই। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগ চলে আসায় সিডি ক্যাসেট কেনা বা স্টুডিওতে ছবি প্রিন্ট করতে যাওয়ার চল তেমন বেশি নয়। কারও মিউজিক শুনতে বা গান শুনতে ইচ্ছে হলে শুধুমাত্র কয়েকটি ক্লিক- স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনেই স্ট্রিম হবে মনের মতো গান, ভিডিও। আর ছবি? হাজার হাজার ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল প্ল্যাচফর্ম রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে লাখ লাখ ছবি কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আপনার সামনে চলে আসবে। এমনকী আপনার তোলা ছবিও অনলাইনে কোনও একটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন যা লক্ষাধিক বার শেয়ার হবে না কে বলতে পারে? এই সমস্ত কিছুই ডিজিটাল অ্যাসেট। অনলাইনে যা কিছু দেখা যায় বা শোনা যায় বা ব্যবহার করা যায় তা ডিজিটাল অ্যাসেট হিসেবে গণ্য করা হবে।

advertisement

কিন্তু এখানে একটি সমস্যা রয়েছে। যেহেতু অনলাইনের সমস্ত কিছুর মধ্যে অধিকাংশই ফ্রি অ্যাকসেসবল তাই আপনি যে কনটেন্ট আপলোড করছেন সেটা অন্য কেউ ডাউনলোড করে দাবি করতেই পারে ওই কনটেন্ট তাঁর তৈরি। এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকের। কিন্তু, এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে।

আরও পড়ুন : শরীরে ক্যালসিয়ামের সমস্যা? সঠিক সময়ে না ধরতে পারলে বড় সমস্যায় ভুগবেন!

advertisement

কী ভাবে প্রমাণ করবেন যে আপনি যে কনটেন্ট আপলোড করলেন সেটা আপনারই তৈরি?

উপায় রয়েছে। এই বিষয়ে প্রমাণ করার জন্য রয়েছে নন-ফাঞ্জেবেল টোকেনস বা NFT। খুব সাধারণ ভাবে বোঝালে বলা যেতে পারে এটি হল ডিজিটাল অ্যাসেটের কপিরাইট। যখন কেউ কোনও কনটেন্ট আপলোড করেন তখন সেই ব্যক্তি তাঁর নিজস্ব কনটেন্টের NFT করে রাখতে পারেন। যখন কেউ ডিজিটাল মাধ্যমে কোনও কনটেন্ট আপলোড করেন সেটা ছবি হোক বা অডিও কনটেন্ট হোক এমনকী ভিডিও কনটেন্টও হতে পারে। সেক্ষেত্রে NFT-র মাধ্যমে সব কনটেন্ট কপিরাইট করা সম্ভব।

advertisement

আরও পড়ুন :  বাস্তবের মতোই আলাদা জগত্ হবে মেটাভার্স! কীভাবে সেটা সম্ভব করবে ফেসবুক?

NFT কী?

এবিষয়ে আলোচনার আগে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার। ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি একটি মিম তৈরি করেছে। এবং তিনি সেই মিম অনলাইনে আপলোড করেছেন। তার পর যথারীতি সেই মিম ভাইরাল হয় এবং একাধিকবার শেয়ার ডাউলোড এবং আপলোড হয়। আর এখানেই প্রশ্ন আসে কপিরাইটের। তাহলে কী ভাবে ওই ব্যক্তি নিজের নামে তাঁর তৈরি করার মিমটি সংরক্ষিত করবেন এবং কপিরাইট নেবেন? এখানেই সাহায্য করবে NFT। ব্লকচেন প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো কাজটি সম্পন্ন হবে। পুরো বিষয়টিকে যদি ক্রিপটোকারেন্সির সঙ্গে তুলনা করা যায় তাহলে বলা যাবে যদি NFT হয় ক্রিপটোকারেন্সি তাহলে ব্লকচেন হবে ভেরিফিকেশন পদ্ধতি।

advertisement

ব্লকচেন এক্ষেত্রে কী ভাবে কাজ করে?

NFT-র মাধ্যমে যে কোনও ডিজিটাল অ্যাসেট ব্লকচেন পদ্ধতিতে রেজিস্টার করা থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম দেখভালের দায়িত্ব থাকে ইথেরিয়াম (Ethereum)। NFT যখন একটি ক্রিপ্টো অ্যাসেট হিসেবে পরিচিতি পায় তখন অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির ন্যায় এটা বিটকয়েন বা ইথার নয়। এটা মূলত একটি প্রযুক্তি যা আসল দুনিয়া থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আলাদা করে রাখে। এবং যার মধ্যে NFT এনেবল থাকে।

বিটকয়েন ইতিমধ্যে অনলাইন প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্লকচেন প্রযুক্তি। যা ডিজিটাল কারেন্সির যাবতীয় লেনদেন মজুত রাখে। এর ফলে প্রতারণামূলক লেনদেন অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন : কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? কোনও মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা থাকে? জানুন বিশদে

ক্রিপ্টোকারেন্সির যেমন ফিজিক্যালি কোনও অস্তিত্ব নেই ঠিক তেমনই, NFT-র ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। NFT কোনও ডিজিটাল অ্যাসেটকে চিহ্নিত করে রাখে না। কোনও ডিজিটাল অ্যাসেটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কোড চিহ্নিত করে রাখে। যখন কোনও ডিজিটাল অ্যাসেট ব্লকচেন প্রযুক্তির মাধ্যমে রেজিস্টার থাকে, কেউ যখন সেই অ্যাসেট ব্যবহার করার অধিকার পায় তার অর্থ ওই অ্যাসেটের মধ্যে থাকা কোড ব্যবহারের অনুমতি পায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, এক ডিজিটাল আর্টিস্টের একটি ডিজিটাল পেন্টিং ৬৯.৩ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। এবং পুরো বিষয়টি হয়েছে অনলাইনে।ওই শিল্পীর সই সহ তাঁর আঁকা ছবিটি বিক্রি হয়েছে। এক্ষেত্রে যেহেতু পুরো বিষয়টি অনলাইনে হয়েছে তাই সেক্ষেত্রে ডিজিটালি কোড বিনিময় করা হয়েছে। শুধুমাত্র ওই শিল্পীর কাছে যে ইউনিক কোডগুলি ছিল তিনি সেগুলির স্বত্ব অন্য জনের কাছে দিলেন।

কী ভাবে NFTs-এ বিনিয়োগ করা সম্ভব?

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এখন বড় অংশের মধ্যে বেশই সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিতে যে সব সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলি জড়িত রয়েছে তারা ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা করেছে। এর মাঝে আরও প্রশ্ন উঠছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি কি স্পেকুলেটিভ অর্থের থেকে বেশি কিছু? তবে যাই হোক ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রতি দিন বাড়ছে।

অনেকে বলেন ক্রিপ্টোকারেন্সি সফলতা লাভ করলে NFT-ও সফল হবে। যদিও এই বিষয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বিভিন্ন শিল্পীদের মধ্যে NFT-র গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। শুধু শিল্পী নয়, খেলোয়াড়, ক্রিয়েটররাও এই তালিকায় রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ২০২১ সালে NFT-র সেলসের পরিমাণ ১৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

NFT-তে ৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন অ্যান্ড্রু স্টিনওয়ার্ল্ড। তিনি বলেন, NFT হল আগামী দিনের ডিজিটাল ওনারশিপ। তাঁর কথায়, “আমরা বেশিরভাগ সময় ব্যয় করি ডিজিটাল মাধ্যমে। অনলাইনে দীর্ঘ সময় ধরে কনটেন্ট দেখি বা গ্রহণ করি। এক্ষেত্রে NFT অত্যন্ত কার্যকরী হবে।”

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
EXPLAINED: অনলাইনে কনটেন্ট আপলোড করছেন? অনেক টাকার মালিক হতে পারেন আপনি!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল