TRENDING:

একদা সব্জি বিক্রি করে রোজগার, আজ সেই ঋত্বিক ৩০০ কোটির মালিক সোমরাজের চরিত্রে

Last Updated:

ঋত্বিকের কাছে তাঁর অতীত দুঃখের বা যন্ত্রণার নয়। সেটি কেবল তাঁর একটি কথাতেই স্পষ্ট, ''আমি যে এখন বাজারে যাই, কেউ ঠকাতে পারে না। একবার দেখেই বুঝে যাই কোন বেগুনটা খারাপ, কোন লাউয়ে স্বাদ হবে না।''

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কেবল অভিনয়টাই করতে চেয়েছিলেন। বাঁধাধরা ১০-৫টার চাকরি করে বেতন নিতে চাননি। আর তাই যখন সেই অভিনয়টা নেই, সব্জি বিক্রিতে স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছিলেন। তবে মাত্র কয়েক বছরেই চেহারাটা বদলে যায়। সব্জি বিক্রেতা ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় এবার ৩০০ কোটি টাকার মালিক সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুতোয় পা গলালেন। চরিত্র দুটো ভীষণ আলাদা। কিন্তু সোমরাজের মতো করে ভাবা শুরু করে দিয়েছেন ঋত্বিক। অন্তত সেটে ঢোকার পর তিনি আর 'একদা সব্জি বিক্রেতা' নন, কোটিপতি ব্যবসায়ী।
advertisement

নতুন ধারাবাহিক 'মন দিতে চাই'-এর প্রোমো মুক্তি পেল সম্প্রতি। দর্শকের সামনে হাজির হল নতুন জুটি ঋত্বিক এবং অরুণিমা হালদার। ফের টক্কর এবং প্রেমের গল্প নিয়ে নতুন মেগা জি বাংলায়। কিন্তু অন্য মোড়কে। মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ভাবে দুই ভিন্ন চরিত্র যখন প্রেমে পড়ে...।

কিন্তু এই সোমরাজের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন 'এই পথ যদি না শেষ নয়'-এর নায়ক? নিউজ18 বাংলাকে ঋত্বিক বললেন, ''প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরই একটা লড়াই থাকে। আমার কাছে আগে টাকাপয়সা ছিল না, এখন আমি কোটিপতির চরিত্রে অভিনয় করছি। সেখানে একটা পরিশ্রম থাকে। আবার একজন কোটিপতি অভিনেতাকেও তো হতদরিদ্রের চরিত্রে অভিনয় করতে হতে পারে। তাঁর পরিশ্রমটাও ছোট হয়ে যায় না। এই পরিশ্রমটা আসলে একটা জায়গায় গিয়ে একই রকম। তাই আলাদা করে সেভাবে ভাবি না আমি।''

advertisement

আরও পড়ুন: নায়ক বদল! বরফির সঙ্গে এবার ঋত্বিক, 'এই পথ'-এর নায়কের জন্যেই কি পথ ছাড়লেন টিপু

মঞ্চে অভিনয়ের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ঋত্বিকের। তারপর বেসরকারি অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় সুপারভাইজারের চাকরি। তার পর সব ছেড়ে পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করার পর 'কৃশাণু কৃশাণু' এবং 'দুপুর ঠাকুরপো ৩'-এ সুযোগ পান তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন: পূজা কার প্রেমিকা, ঋত্বিক না বিশ্বাবসু? শিমুলতলা-সফরের ছবি দেখে ধোঁয়াশায় ভক্তরা!

তার পরেই লকডাউন। হাতে কোনও কাজ নেই। ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, ভাঁড়ারে টান পড়ছে। সেই সময় হয়তো চাকরির খোঁজে বেরোতে পারতেন। কিন্তু সেটা করলে আজ আর অভিনয় করা হত না। সাত্যকি বা সোমরাজ হয়ে উঠতে পারতেন না। সেই ভয়েই এবং অভিনয়ের প্রতি ভালবাসার দৌলতে সব্জি নিয়ে বসেন। তার পর একদিন আচমকাই 'এই পথ যদি না শেষ নয়'-এর পথ শুরু।

advertisement

তবে ঋত্বিকের কাছে তাঁর অতীত মোটেই কষ্টকর, দুঃখের বা যন্ত্রণার নয়। আর সেটি কেবল তাঁর একটি কথাতেই স্পষ্ট, ''আমি যে এখন বাজারে যাই, কেউ ঠকাতে পারে না। একবার দেখেই বুঝে যাই কোন বেগুনটা খারাপ, কোন লাউয়ে স্বাদ হবে না। নিজে বিক্রি করেছি তো একসময়ে। জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা।''

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
একদা সব্জি বিক্রি করে রোজগার, আজ সেই ঋত্বিক ৩০০ কোটির মালিক সোমরাজের চরিত্রে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল