তরুণ মজুমদার এবং সন্ধ্যা রায়। পরিচালক এবং নায়িকা। প্রেম, বন্ধুত্ব তাঁদের এই দম্পতিকে আরও যেন মজবুত করে তুলেছে। দম্পতির পাশাপাশি সহকর্মীও বলা চলে। কিন্তু সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক। একা হয়ে গেলেন সন্ধ্যা রায়।
তাঁকে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রীর এক ভাই ফোনটি ধরে বলেন, "উনি খাওয়া দাওয়া করছেন না। শোকে পাথর। স্বামী বিয়োগ হয়েছে। মেনে নিতে পারছেন না। কথা বলারও আর শক্তি নেই তাঁর।"
advertisement
আরও পড়ুন: তরুণ মজুমদার একটা বিশ্বাসের নাম : 'পলাতক'- এর ভিতরের কথা শোনালেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়
একই বাড়িতে সন্ধ্যার পাশে রয়েছেন 'শ্রীমান পৃথ্বীরাজ' খ্যাত অভিনেতা অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বললেন, "আমার দ্বিতীয় বাড়ি এটি। সন্ধ্যাদির পাশেই আছি। এমন এক জন কাছের মানুষ চলে যাওয়ায় যে ভাবে মানুষ ভেঙে পড়েন, ঠিক তেমনই অবস্থা সন্ধ্যাদির। নিজের শরীরের কথা এখন তো ভাবতেও পারে না।"
দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত কারণে ভুগছিলেন তরুন মজুমদার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরিচালক। সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল ছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা। কিন্তু রবিবার হঠাৎই ফের শারীরিক অবনতি হয় তাঁর। হঠাৎ সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয় বর্ষীয়ান পরিচালকের। জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বালিকা বধূ দেখেছেন ১৮ বার, তরুণ মজুমদার পরিচালিত মিষ্টি প্রেমের ছবি এখন বিরল, বললেন মিঠুন
রবিবার দ্রুত শরীর খারাপ হয়ে পড়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তরুণ মজুমদারের। তখনই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। ৯২ বছর বয়সে একদিকে বয়স জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি ৷ গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত, হাই ডায়াবেটিসও রয়েছে তাঁর ৷ তার সঙ্গে নতুন করে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ৫ জন চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়৷ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ এবং চেস্ট মেডিসিনের সোমনাথ কুন্ডু-র তত্ত্বাবধানে ছিলেন তরুণ মজুমদার৷