সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সেই চুম্বনের দৃশ্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি এই দৃশ্যটিকে নান্দনিক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে এ-ও বলেন যে, প্রেম-ভালবাসার কোনও বয়স হয় না। অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে মজাদার আলাপচারিতার স্মৃতি হাতড়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে ধর্মেন্দ্র বলেন যে, “আমি রণবীরকে বলেছিলাম যে, রণবীর, ‘রকি অওর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে তো তুই প্রচুর চুমু খেয়েছিস। আর আমার একটা চুমুই দর্শকদের রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল।”
advertisement
বর্ষীয়ান অভিনেতা আরও বলেন, ‘এক দিক থেকে দেখতে গেলে উনি (‘রকি অওর রানি প্রেম কাহানি’-তে ধর্মেন্দ্রর চরিত্র) অনেকটা দেবদাসের মতো। দেবদাস এমন এক চরিত্র ছিলেন, যিনি মদ্যপান করে ঘুরে বেড়াতেন, কোনও কিছু মনে রাখতে পারতেন না এবং এরপর তিনি মারা যান… গোটা বিষয়টাই ভীষণ রকম মর্মান্তিক। আর এটা ছিল একটি ভাল গল্প।’
যদিও করণ জোহর পরিচালিত এই ছবির ওই চুম্বন দৃশ্য নিয়ে এই প্রথম নয়, এর আগেও মুখ খুলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। আগে News18 Showsha-র সঙ্গে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুনতে পাচ্ছি যে, আমি আর শাবানা চুম্বনের দৃশ্যের মাধ্যমে দর্শকদের চমকে দিয়েছি। আবার একই সঙ্গে তাঁরা এর বিশেষ প্রশংসাও করেছেন। আমার মনে হয় যে, দর্শকরা এমনটা আশা করেননি। আচমকাই যেন এটি হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে এটি প্রভাব বিস্তার করেছিল। এর আগে শেষ বার আমি ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবিতে চুম্বনের দৃশ্য করেছিলাম নাফিসা আলির সঙ্গে। আর সেই সময়েও মানুষ এর প্রশংসা করেছিলেন।’
ধর্মেন্দ্র বলে চলেন, ‘করণ যখন দৃশ্যটা আমাদের সামনে বর্ণনা করেন, তখন আমি উচ্ছ্বসিত হইনি। আমরা বিষয়টা বুঝেছিলাম এবং আমার উপলব্ধি ছিল যে, এটা এমন একটা বিষয়, যেটা ছবিটির প্রয়োজন ছিল। জোর করে কখনওই এটাকে রাখা হয়নি। তাই আমি বলেছিলাম যে, আমি করব। সেই সঙ্গে আমি এ-ও বিশ্বাস করি যে, প্রেমের কোনও বয়স হয় না। বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র! আর যে কোনও বয়সের দুটো মানুষ একে অপরের প্রতি চুম্বনের মাধ্যমে ভালবাসা প্রকাশ করতে পারেন। শাবানা এবং আমি দু’জনেই তা করার সময় একেবারেই অপ্রস্তুত হইনি। কারণ এটাকে খুবই নান্দনিকতার সঙ্গেই শ্যুট করা হয়েছিল।’