মমতা কুলকার্নির একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু তাঁর সেই ছবি দেখে চেনাই দায়। কারণ আগের চেহারার সঙ্গে এখনকার চেহারার কোনও মিলই নেই। বেড়েছে ওজন। আসলে আগে যে নিষ্পাপ সৌন্দর্য দিয়ে ভক্তদের মনে ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী, সেটাই যেন কোথায় উধাও। অনেকেই মনে করছেন যে, তাঁর জীবনযাপনের ধরন বদলে গিয়েছে। যার ফলে এই পরিবর্তন। অর্থাৎ নিজের সমসাময়িক অভিনেত্রীদের মতো জীবনযাপন করেন না তিনি। ফলে চেহারাতেও এসেছে ভারিক্কি ছোঁয়া।
advertisement
আরও পড়ুন- বাড়ছে লোকসান, কুলের তেমন চাহিদা না থাকায় হতাশ পূর্বস্থলীর চাষীরা
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা পোশাকে রয়েছেন অভিনেত্রী। নো-মেক আপ লুক ফ্লন্ট করেছেন তিনি। এমনিতে যখনই তাঁর ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ পায়, তখন তাঁকে নো-মেক আপ লুকেই বেশি দেখা যায়। যা নিরাশ করেছে ভক্তদের।
অথচ এক সময় তাঁর ঝুলিতে ছিল প্রচুর হিট ছবি। ১৯৯২ সালে ‘তিরঙ্গা’ ছবির হাত ধরে গ্ল্যামার জগতে অভিষেক হয় মমতার। আর তাঁর হিট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ‘আশিক আওয়ারা’, ‘চায়না গেট’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘করণ অর্জুন’, ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’, ‘আন্দোলন’, ‘বাজি’-র মতো ছবি। ‘কভি তুম কভি হাম’ ছবিতে অভিনয়ের পরে এক প্রকার পাকাপাকি ভাবেই ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানিয়েছিলেন মমতা। তবে শুধু হিন্দি ছবিতেই নয়, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, বাংলা এবং মলয়ালম ছবিতেও কাজ করেছেন মমতা কুলকার্নি।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর জীবন নিয়ে রয়েছে তুমুল বিতর্ক। শোনা যায়, মরাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হলেও ভালবাসার জন্য মমতা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মমতা এবং তাঁর প্রেমিক ভিকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দুবাইয়ে বিয়ে করেন। তবে এটা আদৌ সঠিক কি না, তা জানা যায়নি। এর পরেই দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। এমনকী, কেরিয়ারে সাফল্যের শিখরে থাকাকালীনই অভিনয় জগতকেও বিদায় জানিয়েছিলেন মমতা। সূত্রের খবর, এই ভিকিই ছিলেন আন্তর্জাতিক ড্রাগ লর্ড। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রে জড়িয়েছিলেন মমতাও। পুলিশ যখন ভিকিকে হেফাজতে নেয়, তখন মমতার নামও উল্লেখ করা হয়। তবে শোনা যায়, বর্তমানে কেনিয়ায় থাকেন অভিনেত্রী।