তেলুগু ফিল্ম ফিনান্সারের কন্যা ললিতা রানি শৈশব থেকেই নাচ-গানের তালিম নিয়েছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই রুপোলি পর্দার জগতে পা রাখেন। এর পর নিজের অভিনয় দক্ষতা এবং নিখুঁত সৌন্দর্যের মাধ্যমে সত্তর এবং আশির দশকে ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। চলচিত্র জগতের খ্যাতি তো ছিলই, তার সঙ্গে রাজনীতিতেও হাত পাকিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ছবি এবং রাজনীতির দুনিয়ায় সাফল্য এসেছে দু-হাত ভরে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ছিল শুধুই শূন্যতা। কথা হচ্ছে, জয়া প্রদা ওরফে ললিতা রানির। আসলে জয়া প্রদা আসল নাম নয়। ভালবেসে মা-বাবা নাম রেখেছিলেন ললিতা রানি।
বলিউডে এক সময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন জয়া। তবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল তেলুগু ছবির জগতের হাত ধরেই। দক্ষিণী পরিচালক কে. বিশ্বনাথ পরিচালিত তেলুগু ছবি ‘সিরি সিরি মুভভা’-তে অভিনয় করেছিলেন জয়া। সেই ছবিই ফের হিন্দিতে বানিয়েছিলেন পরিচালক, যার নাম ছিল ‘সরগম’। সেই ছবিতেও অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতির শিরোনামে পৌঁছে গিয়েছিলেন জয়া প্রদা। যদিও এই ছবিতে হিন্দি বলার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন জয়া।
অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন ছবির মতো হলেও তা ছিল শূন্যতায় ভরা। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায় যে, এই প্রতিভাবান এবং সুন্দরী অভিনেত্রী ছবির প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহতার প্রেমে পড়েন। যদিও আগে থেকেই বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবা ছিলেন শ্রীকান্ত। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে ১৯৮৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জয়া-শ্রীকান্ত। এই বিয়ে নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে। কারণ প্রথম স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই জয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিন সন্তানের বাবা শ্রীকান্ত।
প্রসঙ্গত, জয়া প্রদা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন। নানা কিছু পোস্ট করতে থাকেন তিনি। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন পরিচালক কে. বিশ্বনাথ। নিজের গুরুর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ইনস্টাগ্রামে একটি থ্রোব্যাক ছবি শেয়ার করেছিলেন জয়া প্রদা। আসলে কে. বিশ্বনাথকেই নিজের গুরু হিসেবে মান্যতা দেন জয়া। আসলে বলিউডি ছবির দুনিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করে দিয়েছিলেন পরিচালক কে. বিশ্বনাথই। কারণ তাঁর বেশির ভাগ ছবিতেই অভিনয় করেছিলেন জয়া প্রদা।