গোটা ভিডিওটি দেখলে ঘটনাটি জানা যাবে।
দেরাদুনের এক পাঁচ তারা হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। একটি ঘরে কনে, প্রেরণা নেগি (ফ্যাশন স্টাইলিস্ট) সাজছেন। অন্য ঘরে কনের বন্ধুরা। কনের সাজা হয়ে যাওয়ার পরে সবাই মিলে তাঁকে দেখতে এ ঘর ও ঘরে ছোটাছুটি করছেন। বিয়ের লগ্নের সময় হয়ে এসেছে। নীচে অপেক্ষা করছেন বর-সহ বরযাত্রী। এমনই সময়ে এক বন্ধু দেখতে পান লবি দিয়ে হেঁটে গেলেন অভিনেতা ভিকি কৌশল। সে কথা শুনে প্রেরণার বন্ধুর দল উল্লাসে চিৎকার করে ওঠেন। সকলে মিলে সাজগোজ ছেড়ে ভিকির ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ বন্ধ দরজায় কান পেতে গলা শোনার চেষ্টা করেন, কেউ আবার ভিকির ম্যানেজারকে ধরে অনুরোধ করতে থাকেন তাঁর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রথম বার কন্যার ছবি পোস্ট করলেন বঙ্গতনয়া দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বামী গুরমিত
এমনই সময়ে প্রেরণা সেখানে এসে জানতে পারেন সেই হোটেলেই উঠেছেন ভিকি। তখনই তিনি নায়ককে দেখার জন্য নাছোড়বান্দা। ভিকির ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যানেজারকে বলতে থাকেন, ''দেখুন, আমার বরযাত্রী চলে এসেছে। বর নীচে অপেক্ষা করছে। যদি ভিকিকে এক বার চোখের দেখা না দেখি, তা হলে আমি নীচে যাব না। বিয়ে হবে না। আপনার ভাল লাগবে তখন?''
আরও পড়ুন: সুঠাম শরীরে নেই কোনও পোশাক! বিবস্ত্র বিজয়কে দেখে মুগ্ধ সারা, কী বললেন জানেন?
প্রেরণার অনুরোধ, ''কেউ কিচ্ছু করবে না। আমরা এই কয়েক জন মেয়ে আছি। আমি কেবল একটা ছবি দেখব। দয়া করে তাঁকে এক বার ডাকুন।'' কনের বন্ধুরা বলতে থাকেন, ''দেখুন দাদা, এক বারই বিয়ে হবে আমাদের বন্ধুর। বিয়ের আগে এই একটি শখ পূরণ করতে দিন।''
কিন্তু হায়, কনের শখ পূরণের জন্য বাইরে এলেন না ভিকি। দেখা হল না লাল শাড়িতে সেজে ওঠা প্রেরণার সঙ্গে।
যদিও হতাশ হয়ে বিয়ে সারতে হয় প্রেরণাকে। সমস্ত রীতি মেনেই বিয়ে করেন। ইউটিউবার জানান, সম্ভবত ভিকির কাছে এই খবরটিই পৌঁছয়নি যে এত জন অনুরাগী তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নয়তো তিনি নাকি দেখা দিতেনই।