সম্ভবত পয়লা বৈশাখেই ইউটিউবে শোনা যাবে এই ব্যান্ডের প্রথম গান।উজ্জয়িনী-মনোময়-রূপঙ্কর। গানের জগতে পরিচিত নাম। প্রত্যকেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু করার।
তবে বাংলা গান নয়, এবার হিন্দিতে পা। মানে স্বাদবদল। উজ্জয়িনী অবশ্য ‘অলগ’, ‘তনু ওয়েডস মনু’-র মতো হিন্দি ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছেন। তবুও হিন্দি ব্যান্ডের জন্য গান লেখা এই প্রথম।
advertisement
আরও পড়ুন- বিপদে শ্রাবন্তী, তলব করল বন দফতর! কারণ একটি ছবি, দেখেছেন সেটি?
দুটো গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ। চলছে ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ। একটা গান লিখেছেন উজ্জয়িনী। সুর করেছেন রূপঙ্কর। ওঁদের সঙ্গী মনোময় ভট্টাচার্য। সঙ্গীতায়োজনে রয়েছেন শমীক গুহ রায়।
ঠিক কোন ভাবনা থেকে এই ব্যান্ডের শুরু! ‘‘আইডিয়াটা রূপঙ্করদার। রূপঙ্করদা একদিন ফোন করে আইডিয়াটা আমাকে বলেন। আমার কনসেপ্টটা খুব ইউনিক মনে হয়েছিল। আমাকে গান লিখতে বলেন। খুব এক্সাইটেড ছিলাম পুরো ব্যাপারটায়। খুব যত্ন করে আমরা কাজ করছি। শ্রোতাদের এই গান ভাল লাগবে।’’ আশাবাদী উজ্জয়িনী।
বাংলা গানের ব্যান্ড নিয়ে ভাবলেন না কেন? ‘‘দেখুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাংলা গানের থেকে হিন্দি গানের প্রাধান্য অনেক বেশি। যদিও এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু এটাই সত্যি। এর সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয়েছে।’’ বললেন উজ্জয়িনী।
স্টেজ শো করতে হলে তো আরও গান চাই। কীভাবে সামলাবেন? ‘‘সবে আমরা পথচলা শুরু করেছি। এখন তো এত গান আমাদের স্টকে নেই। স্টেজ শোয়ের ক্ষেত্রে আমরা পুরনো দিনের গানও গাইব।’’ বললেন উজ্জয়িনী। উচ্ছ্বসিত মনোময়ও। ‘‘স্টেজে হিন্দি গান আগেও গেয়েছি, কিন্তু হিন্দি গান রেকর্ড করা এই প্রথম। উচ্চারণ, গানের ভাব নিয়ে সচেতন থাকতে হয়েছে। উজ্জয়িনী, রূপঙ্কর যে আমার কথা ভেবেছে এতে আমি খুব খুশি। নতুন ধরনের কাজ করার ইচ্ছা অনেকদিন থেকেই ছিল। এই সুযোগটা আমার ইচ্ছেটা পূরণ করল।’’ বললেন মনোময়।
আরও পড়ুন- 'জানি কিছুটা দেরি হল', পাঠানের মুক্তির দিন জানিয়ে কামব্যাক শাহরুখ খানের! দেখুন
বেসিক অ্যালবাম থেকে ছবির গান, সব মিলিয়ে টাইট শিডিউলে থাকেন রূপঙ্কর। স্টেজ শো তো আছেই। ক্যালেন্ডারে ফাঁকা আছেন এমন ডেট পাওয়া মুশকিল। বাংলা গানের জগতে ব্যস্ততম নাম তিনি। তবে, গত দুবছর করোনা আবহে সমস্যায় ছিলেন শিল্পীরা। স্টেজ প্রোগ্রামের বদলে ফেসবুক লাইভেই খুশি থাকতে হয়েছে শিল্পীদের। রূপঙ্করও তাঁর সমস্যার কথা বারবার বলেছেন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এখন পরিস্তিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। কাজের সুযোগও বাড়ছে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার কথা ভাবতে শুরু করেছেন শিল্পীরা। ‘‘ন্যাশনাল লেভেলে কাজ করার ইচ্ছেটা অনেকদিন থেকেই মনের মধ্যে ছিল। বাংলা গান তো গাইছি। কিন্তু এটা গ্লোবালাইজেশনের যুগ। হিন্দি গান অনেক বেশি মানুষকে শোনাতে পারব। এই ইচ্ছেটাই কাজ করেছে হিন্দি ব্যান্ডের আইডিয়ার পিছনে।’’ বললেন রূপঙ্কর। আগামিদিনে হিন্দি ব্যান্ডের কনসার্ট করার ইচ্ছে, স্বপ্ন দুটোই রয়েছে ইউএমআর-এর।