এলাহাবাদ থেকে স্বপ্ন নগরীতে এসেছিলেন কিন্তু পকেটে বাড়ি ভাড়ার টাকা টুকুও ছিল না। ঠিক এমনই ধূপগুড়ির এই যুবতী বাবার সঙ্গে বাজারের দোকানে চপ বিক্রি করে শুধুমাত্র ইচ্ছে শক্তির জেরে আজকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত মডেল হিসেবে তৈরী করেছেন। শত বাধা বিপত্তি পেরিয়েও আজ সে সুপ্রতিষ্ঠিত একজন মডেল। সুপ্রিয়ার মতো অনেকেরই সফলতার কাহিনী চোখে আঙুল দিয়ে বার বার আমাদের বুঝিয়ে দেয় চেষ্টা থাকলে কোন বাঁধাই বাঁধা নয়। এখন সুপ্রিয়ার ছবি মহানগর কলকাতার বুকে বিজ্ঞাপনী ছবি হিসেবে শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও তিনি একটি সিরিয়ালে কাজ করার সুযোগও পেয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুষ ও মহিলাদের যৌবন-শক্তি বাড়ায়! এই টক ফলের বীজেই দূর হবে ডায়াবেটিস থেকে হাই-প্রেশার!
তবে পথটা খুব একটা সহজ ছিল তা কিন্তু নয়। তার ওপর ধূপগুড়ির বারোঘরিয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসে কলকাতার বুকে নিজেকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কম পরিশ্রম করতে হয়নি। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা বাজারে চপ বিক্রেতা সন্তোষ দেবের দোকান। সেখানে বাবার সঙ্গে চপ বানাতেন সন্তোষ বাবুর বড় মেয়ে সুপ্রিয়া। তবে এখনও বাড়িতে বাবাকে চপ তৈরিতে সাহায্য করে। মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা ও মা’ সহ পরিবারের প্রত্যেকে। এলাকায় এখন খুশির আমেজ। তারা চায়, মেয়ে আরও এগিয়ে যাক নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে । একদিন নামকরা মডেল হিসেবে মেয়েকে এক নামে চিনুক সবাই। সুপ্রিয়ার এমন অদম্য লড়াই নিজের স্বপ্ন পূরণের শক্তি জোগাবে হাজারও এমন সুপ্রিয়াকে।
সুরজিৎ দে