মাঠের সম্পূর্ণ ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দর্শকদের সামনে মাঠ ঘেঁষে থাকা বাবলা গাছ থেকে ধারাভাষ্য করছেন সুখেন দাস। মাঠের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অশ্বত্থ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে মহানায়ক উত্তম কুমার কলকাতার খেলোয়াড়দের উপদেশ দিচ্ছেন, গলা ফাটাচ্ছেন। সেই দৃশ্য গ্রামের মানুষের আজও চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। সেদিনের সেই হাড়ভাঙা মাঠ আজও মনে করিয়ে দেয় পুরনো সেদিনের স্মৃতি। বিখ্যাত সিনেমার সেই ফুটবল মাঠ বর্তমানে রয়েছে হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোয়ালপোতা গ্রামে।
advertisement
উত্তম কুমার, জয়া ভাদুড়ি, রবি ঘোষ, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, সুখেন দাস সে সময়ের স্টার অভিনেতাদের সেই বিখ্যাত ফুটবল খেলার মাঠ হাওড়া জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোহালপোতা গ্রামের মানুষের কাছে রয়েছে হৃদয় জুড়ে। সে সময়ের জগৎবল্লভপুর আর বর্তমান জগৎবল্লভপুর ব্যবধান অনেকখানি। রাস্তাঘাট থেকে মানুষের জীবন যাপনের ধারা ব্যাপক পরিবর্তন।
তবে সিনেমার সেই বিখ্যাত খেলার মাঠ যেন অপরিবর্তন থেকে গেছে। বড় বড় গাছে ঘেরা সবুজ একটা মাঠ। পুরনো সেই দিনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, মাঠের ধারেই বিচরণ করছে গরু ছাগল। রয়েছে সেই পুরনো তেতুল গাছও। প্রায় ৫ দশক পেরিয়ে গেলেও হাড় ভাঙার এই মাঠে পৌঁছলে মনে করিয়ে দেবে সেই পুরনো স্মৃতি।
সিনেমায় টানটান উত্তেজনা গোহালপোতা গ্রামে হাড়ভাঙ্গা মাঠের সেই দৃশ্য আজও বাঙালির হৃদয় জুড়ে। বর্তমানে বাংলার সেই মাঠ কেমন রয়েছে। সে বিষয়েই স্থানীয় নবীন- প্রবীণ মানুষ জানালেন তাঁদের মনের কথা। গোহালপোতা গ্রামের গোপাল চন্দ্র পাত্র জানান, পুরনো সেই দৃশ্য যেন,আজও জ্বলজ্বল করছে চোখের সামনে। গ্রামের মানুষের কাছে সেই দিনটা ছিল অন্য একটা দিন। অভিনেতাদের সঙ্গে গ্রামের যুবকরা মাঠে ফুটবল খেলছেন। মাঠের চতুর্দিক পুরুষ মহিলা ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। খেলা চলছে, মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে মহানায়ক উত্তম কুমার গলা ফাটাচ্ছে। আমরা তার সঙ্গেই দাঁড়িয়ে রয়েছি। সে কথা আজও মনে পড়ে। যদিও এই গ্রামের মানুষ ধন্যি মেয়ে ছাড়াও বহু সিনেমার শুটিং ও সিনেমা জগতের নক্ষত্রদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন। সবই সম্ভব হয়েছে চণ্ডী মাতা ফিল্মসের কর্ণধার সত্যনারায়ণ খাঁ এর জন্যই।
Rakesh Maity