এক সপ্তাহ হল মুম্বই শহরে সংসার পেতে ফেলেছেন তিনি। ৩২ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকবেন অদ্রিজা। নতুন সংসার গোছানোর পর্ব চলছে। কিন্তু একা থাকতে ভয় পান তিনি। তাই আপাতত এক দিদির বাড়িতে থাকছেন। তবে খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা থেকে তাঁর ঠাকুমা আর পরিচারিকা তাঁদের পোষ্যকে নিয়ে মুম্বই চলে যাবেন। আর তখনই নতুন বাড়িতে পা রাখবেন অভিনেত্রী।
advertisement
কিন্তু ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া কি অত সহজ? প্রথমত, তিনি অভিনয়ের জগতের মানুষ। তার উপরে একা মহিলা। অভিনয় জগতে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে এখন ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে নাকি ভীষণই সাবধানী মালিকেরা।
নিউজ18 বাংলাকে ‘‘এখানে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার আগে আমাকে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে! এখানে মুখের কথায় কিছুই হয় না। সমস্ত নথিপত্র দেখাতে হয়েছে। এত ঘটনা ঘটেছে এর আগে এই জগতে। তাই এত ধাপ পেরোতে হয়। এটা একেবারে নতুন বিল্ডিং। লোকজন নেই খুব একটা। তাই একটু ভয় লাগছে একা থাকতে। কিন্তু ভীষণ সুন্দর দেখতে বাড়িটা। একদিকে মুম্বই শহরের ভিউ, অন্য দিকে পাহাড় দেখা যায়। এখান থেকে সেটের দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিটের।’’
আরও পড়ুন: টলি বনাম বলি যুদ্ধে নামব না, আগে নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটুক, পাঠান নিয়ে লিখলেন দিলখুশের পরিচালক রাহুল
ধারাবাহিকের সেটে মাত্র তিন দিনের শ্যুট হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে সকলের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে তাঁর। অদ্রিজার কথায়, ‘‘এখানে সবাই সবাইকে প্রচণ্ড সম্মান করে। এত সম্মান আমি জীবনে পাইনি হয়তো। ফ্ল্যাট সাজানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, শশী সুমিত প্রোডাকশন থেকেই আমাকে সমস্ত যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে।’’
অদ্রিজার সঙ্গে এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে রাচী শর্মাকে। আর নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন মোহিত কুমার। তাঁরা একই মেকআপ রুমে সারাদিন সময় কাটান। সেটে অভ্যাসবশত অদ্রিজা মাঝে মধ্যে বাংলায় কথা বলে ফেললে সকলেই মজা পেয়ে যান। তাঁরাও মরাঠি ভাষায় কথা বলা শুরু করেন। ঠিক এমন ভাবেই দুই ভাষার মেলবন্ধন তৈরি হচ্ছে মুম্বই ফিল্ম সিটির ভিতরে।
চার ধাপে প্রায় ২ হাজার নায়িকার মধ্যে অদ্রিজাকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই চরিত্রের জন্য়। শশী সুমিত প্রোডাকশনসের সঙ্গে আগেও হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তখন হয়ে ওঠেনি। কালার্স বাংলায় ‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরেই এই মেগার অডিশনের যাত্রা শুরু হয়। আর এই মেগার জন্য কলকাতার অনেক কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে অদ্রিজাকে। কিন্তু নতুন শহরে নতুন চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করছেন একেবারে নতুন অবতারে।