ফেরা যাক ছবির কুয়াশায় ঘেরা, নীল আঁধারের কালিম্পংয়ের পটভূমিকায়, যেখানে এক বাড়িতে পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে থাকে স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে আসা রহস্যময়ী মায়া আর অঙ্কের শিক্ষক নরেন, সবার কাছে তার পরিচিতি টিচার নামে। এই মায়া যখন পরিস্থির চাপে পড়ে খুন করে ফেলে স্বামীকে, বডিটা লুকোতে তাকে সাহায্য করে টিচার। ছবিতে বেশ কয়েকবার জানতে চেয়েছে মায়া, বডিটা কোথায় পাচার করেছে নরেন। টিচার শুধু জানিয়েছে নিস্পৃহভাবে- ওটা কেউ খুঁজে পাবে না, শুধু সে যা বলছে, তা মেনে চললেই মায়া নিরাপদে থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘তুমি না হলে আরও ১০ জন রাজি হবে!’ বলিউডে ‘কম্প্রোমাইজ’ নিয়ে নীনার কথা ফাঁস
আরও পড়ুন: সলমনের এ কী দশা! ‘রুগ্ন’ নায়ক যেন ধুঁকছেন, কেন এমন অবস্থা ৫৭-র ‘টাইগার’-এর
মায়ার মতো দর্শকও কিন্তু ছবির শেষে এসেও জানতে পারেনি বডিটা নিয়ে কী করেছিল টিচার। সুজয় বলছেন, আজকাল পৃথিবী যেন দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে, রয়েছে কেবল কৌতূহলী আর অকৌতূহলীরা। কৌতূহলীরা খালি তাঁকে ফোন করছেন আর জানতে চাইছেন বডিটা কোথায় গেল! “আমার যে কোনও ছবি নিয়েই এত ফোন কল পাই, আসলে ছবিটাকে তো এগিয়ে নিয়ে যান দর্শকই, তাঁরাই তার সাফল্যের মূল”, বলছেন সুজয়। এটাও বলছেন প্রশ্নটা তাঁকে বিরক্ত করছে না, বরং তিনি সবার এই কৌতূহল বেশ উপভোগই করছেন। “একটা কাজ করলাম আর কেউ সেটা নিয়ে কথা বলল না, কী লাভ তাতে”, সুজয় উবাচ।
মোদ্দা কথা, সুজয় বলবেন না বডিটা কোথায় গেল। তেমনই বলবেন না ছবির সিক্যুয়েল বানাবেন কি না। “আপাতত আমরা সবাই ছবির সাফল্য উপভোগ করছি, আনন্দ উপভোগ করছি, আরও কিছু দিন এভাবেই থাকি না হয়, পরে তো কাজে ফিরতেই হবে”, জবাব পরিচালকের।
