TRENDING:

‘অ্যাপে বলা নেই দরজা খুলে ডেলিভারি পৌঁছনোর অপেক্ষা করতে হবে’, ‘শিক্ষক শিক্ষিকা’দের জন্য বিবৃতি সুদীপার

Last Updated:

Sudipa Chatterjee on Teachers' Day : কারা তাঁর শিক্ষক? কারা তাঁকে শাসন করেছেন ?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : শিক্ষক দিবসে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থনা, সেই সব শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁকে যা শাসন করেছেন সে সব যেন তাঁর মাথায় আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়ে ৷ কিন্তু কারা তাঁর শিক্ষক? কারা তাঁকে শাসন করেছেন ? কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ নন ৷ সুদীপা উল্লেখ করেছেন ফেসবুকে তাঁকে যাঁরা ‘শাসন’ করেছেন তাঁদের কথা ৷
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
advertisement

প্রসঙ্গত নিজের পোস্টের জন্য বার বার সামাজিক মাধ্যমে ‘তিরস্কৃত’ হয়েছেন সুদীপা ৷ সম্প্রতি সেই তালিকায় যোগ হয়েছে তাঁর সুইগিকাণ্ড ৷ সেই প্রসঙ্গে সুদীপা লিখেছেন তাঁর সেই বিতর্কিত পোস্ট ছিল সুইগি-র নীতি নিয়ে ৷ কোনও নির্দিষ্ট ডেলিভারি বয় তাঁর নিশানায় ছিলেন না ৷ সোমবার সুদীপা তাঁর প্রোফাইলে লিখেছেন সুইগি-র একটি অপশন আছে ক্রেতাকে ফোন না করার ৷ কিন্তু সুদীপার অভিযোগ, এই নিয়ম লঙ্ঘন করে ছোটখাটো অজুহাতে ডেলিভারি কর্মীরা ফোন করে থাকেন ৷ এই পরিস্থিতি যে কোনও কারওর কাছেই বিরক্তিকর ৷ সে তিনি সেলেব্রিটি হন, বা না হন ৷

advertisement

সুদীপার মত, যাঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন, গ্রাহকদের তুলনায় তাঁদেরই এটা নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করা উচিত ৷ তাঁর তির্যক কটাক্ষ, অ্যাপে এমন কোনও অপশন নেই যেখানে বলা হয়েছে দরজা খুলে রেখে অর্ডার আসার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে ৷ তিনি যে এই পোস্ট লিখছেন, তার সঙ্গেও কোনও ডেলিভারি কর্মীর সম্পর্ক নেই বলেই দাবি সুদীপার ৷ কারণ তাঁর মতে ডেলিভারি কর্মীরা ওই সংস্থার প্রতিনিধি মাত্র ৷ তাই সঞ্চালিকার প্রশ্ন, এতে কোথায় তিনি ডেলিভারি কর্মীকে অপমান করে বসলেন?

advertisement

আরও পড়ুন : চালকের আসনে ছিলেন নামী মহিলা চিকিৎসক, সাইরাসের সঙ্গে মার্সিডিজে ছিলেন তাঁর পারিবারিক বন্ধুরা

প্রসঙ্গত কিছু দিন আগে ফেসবুকে সুদীপা এই মর্মে পোস্ট করেছিলেন ‘‘ আমি শুধু জানতে চাই Swiggy-র একজন delivery boy ও ফোন না করে, কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? আর, ফোন করে কেন বলেন-আমি আসছি, আপনি গেটটা খুলুন? আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুবলবো?’’ এই পোস্টের জেরে নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা করেন তাঁর ৷ পরে এই বিতর্কিত পোস্ট মুছেও দেন সুদীপা ৷

advertisement

পোস্ট ডিলিট করে দিলেও বিতর্ক থেমে যায়নি ৷ সামাজিক মাধ্যমে তিনি আক্রান্ত হয়েই চলেছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, ব্যক্তিগত হতাশা থেকেই এই আক্রমণ আসে ৷ এ যেন অনেকটা গণপ্রহারের মতোই ৷ তিনি কী লিখেছএন, তাঁর মর্মার্থ না বুঝে নিজের মতো যা খুশি লিখে যাওয়া কার্যত স্যাডিস্টিক আনন্দ ৷ তিনি মনে করেন নেটিজেনরা আসলে সমাজের প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়, যে সমাজ তাঁকে চিনতে পারেনি ৷ চটজলদি সস্তার প্রচার পেয়ে গেলেও এই ধরনের আক্রমণে নেটিজেনদের মনের আসল চেহারা, বড় হয়ে ওঠার পারিপার্শ্বিক-সবই ধরা পড়ে ৷

advertisement

আরও পড়ুন :  দীর্ঘ দেড় বছর পর হাওড়া স্টেশনে আজ থেকে ফের খুলছে ফুড প্লাজা

সুদীপার আশা, তিনি তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার করে বোঝাতে পেরেছেন ৷ তবে পোস্টের শেষে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি ৷ লিখেছেন, ‘‘যদি আমি অজান্তে কাউকে দুঃখ দিয়ে ফেলি তা হলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ৷ এটা ইচ্ছাকৃত ছিল না ৷’’ এর পর সকলকে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট শেষ করেছেন সুদীপা ৷

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘অ্যাপে বলা নেই দরজা খুলে ডেলিভারি পৌঁছনোর অপেক্ষা করতে হবে’, ‘শিক্ষক শিক্ষিকা’দের জন্য বিবৃতি সুদীপার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল