শুভশ্রী কথায়, ''গোটা পুজোই খুব ভালো কেটেছে। কিন্তু বাড়ির কথাও মন পড়েছিল। বাড়িতে পুজো হচ্ছে, আর আমি আসব না, তা কখনো হয়! তাই দশমীর দিন চলে এলাম নিজের বাড়ি।'' একইসঙ্গে অনুরাগীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নবমী নিশিতে ঋতাভরীর সঙ্গী ক্যাটরিনা কইফ, 'মিষ্টি' সম্বোধন ভিকি-পত্নীকে
advertisement
বর্ধমানের বাজে প্রতাপপুরে শুভশ্রীর বাপের বাড়ি। পড়াশোনাও সেই শহরেই। সেই বাড়িতেই এবার দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তাই বাড়ির মেয়ে কবে ঘরে ফিরবে, সেই প্রশ্ন ছিল সকলের মনে। পথ চেয়ে ছিলেন পরিবারের সকলেই। অবশেষে দশমীতে বাপের বাড়ি এল মেয়ে। তাঁকে ঘিরে খুশির বন্যা গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে। পুজোতে শ্বশুরবাড়ি আসতে পেরে খুশি জামাই পরিচালক রাজও। কয়েক ঘণ্টা র্ধমানে কাটিয়ে কলকাতা ফিরে যান তাঁরা।
এমনিতে শুভশ্রীকে বর্ধমানের এই বাড়িতে দীপাবলিতে জমিয়ে আনন্দ করতে দেখা যায়। শুভশ্রীর বাড়িতে ধুমধাম করে কালীপুজো হয়। বিয়ের আগে সে সব নিজের হাতে পরিচর্যা করতেন শুভশ্রী। শত ব্যস্ততার মাঝেও দীপাবলিতে বাড়ি আসা তাঁর নিশ্চিত ছিল। গোটা বাড়ি আলোয় দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি নিজের হাতে দীপাবলির প্রদীপ জ্বালান।
কিন্তু এবার মহা আড়ম্বরে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে। আর তাই পুজোয় আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন রাজ এবং শুভশ্রী। তেমনটাই জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। কিন্তু পুজোর চার দিন কলকাতায় তাঁদের একাধিক কর্মসূচি ছিল। তাই আগে আসতে না পারলেও দশমীর দিন সপরিবার বাপের বাড়ি এলেন শুভশ্রী। লাল রংয়ের শাড়ি পরে মা দুর্গাকে বরণ করতে ভুললেন না। রাজ আবার প্রতিমার সামনে স্ত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাক বাজিয়ে তাক লাগালেন প্রসেনজিৎ! খুদে আদিদেবের কাছে কি জিততে পারবেন বুম্বাদা?
নায়িকার কথায়, ''পুজোয় খুব আনন্দ হল। বাড়িতে এলাম। মাকে বিজয়ার আগে বরণ করলাম। আশীর্বাদ নিলাম। সকলকেই শারদীয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা জানাই। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন, এই কামনা করি।''