ফেসবুকে ‘হানিকারক সানি’ নামের একটি প্রোফাইল থেকে একটি ছবি-সহ পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মেট্রোর সিটে বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি, মুখের আদল ও গোঁফ-দাড়ির কাটছাঁটে অনেকটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো দেখতে তাঁকে। মোবাইলে মগ্ন হয়ে কোনও কিছুতে ব্যস্তি তিনি। পোস্টটি লোকনাথ দে লোকা নাম দিয়ে ‘হানিকারক সানি’ প্রোফাইলে পোস্ট করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দাঁতচাপা লড়াই, রাস্তায় ফেলে মার দীপ্সিতাকে, নেত্রীর মা’কে চড়! ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন
৭ জুলাইয়ের করা পোস্টটিতে লেখা রয়েছে, ‘কাল বিভিন্ন কাজ সেরে গীতাঞ্জলী স্টেশন থেকে মেট্রোতে ফিরছিলাম। ফাঁকা ট্রেনে হঠাৎ দেখি উল্টো দিকে Srijit Mukherji বসে আছেন। আমি তো অবাক। একটু ভেবলে গিয়ে পরে ভাবলাম হয়তো গাড়ী খারাপ হয়ে যাওয়ায় অগত্যা মেট্রো গমন। তবে আমি মনে মনে একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। বেশ কয়েক মাস আগে একটা কাজ নিয়ে কিছু কথা হয়েছিল। কাজটা সিরিয়াস ছিল। ফলে আমিও উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু কাজের কথা আর এগোয় নি। যাই হোক এই মওকা… একদম আমার দৈনন্দিন যাওয়া আসার পথে। মনে মনে ঠিক করে নিলাম যে আমাকে ঐ কাজটায় না নেওয়ার কারণ কি ছিল এটা জানার চেষ্টা করব । স্বভাব মতো সৃজিত দা এক মনে সম্ভবত নতুন কোনো প্রজেক্টের কনটেন্ট দেখছেন বা কোনো প্রডিউসারের সঙ্গে দর দস্তুর নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চালাচালি চলছে। একটা ছোট্ট কেশে নিয়ে প্রায় মুখোমুখি হবো এমন সময় উনি একটা চেরা চাউনিতে আমার দিকে চাইলেন.. অনেকটা ঠিক সৃজিতের মতোই। কিন্ত আমার মনে হলো উনি ঠিক সৃজিত নন। কারণ সৃজিতের চোখের ভাষায় যে বুদ্ধি মেধার ছাপ সর্বদাই স্পষ্ট ও উজ্জ্বল এ চোখদুটি যেন ম্লান নিস্প্রভ।
ঘোর ভাঙল। একটু লজ্জা পেয়েই ফোনে মন দিলাম। মেট্রোর ভীড় বাড়তে লাগল। এক সময় চোখ তুলে দেখলাম ‘অন্য সৃজিত’ হাওয়া।
বি. দ্র. ছবিটা আবেগের বশে তোলা। ক্ষমা প্রার্থনীয়। কার্টেসি– Lokenath Dey Loka’
আরও পড়ুন: ডিমভরা ইলিশ খাওয়া ভাল? ইলিশের ডিম খেলে শরীরে কী হয় জানুন
কোনও ব্যক্তিকে না জানিয়ে ছবি তোলার জন্য লেখক ক্ষমাও চেয়েছেন ‘নকল সৃজিত’-এর কাছে। তবে পোস্টটি নিমেষে নজর কেড়েছে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। ভাইরাল পোস্ট ঘিরে অনেক ধরনের মন্তব্যও চোখে পড়ার মতো। কেউ লেখকের কথায় সহমত দিয়েছেন। কেউ আবার সমালোচনা করেছেন। পোস্টে ট্যাগও করা হয়েছে আসল সৃজিতকে। সব মিলিয়ে ভাইরাল হয়েছেন ‘নকল সৃজিত’। আসল সৃজিত কি এই পোস্টটি দেখেছেন?
